কুয়েতে সারা বছর গরম থাকে তার পর ও সেখানে করোনা সংকত দেখা দিয়েছে ।
কুয়েতে দ্রুত বাড়ছে করোনা’ভাই’রাসে আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যা।
কুয়েতের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বরাত দিয়ে রবিবার স্থানীয় গণমাধ্যমে
প্রকাশিত তথ্য অনুযায়ী করোনায় আরও ৩৬৪ জন নতুন করে আ’ক্রা’ন্ত হয়েছেন।




এর মধ্যে প্রবাসী বাংলাদেশি আছে ৩৭ জন। আজ পর্যন্ত সর্বমোট বাংলাদেশি
আ’ক্রা’ন্ত হয়েছেন ৩৯৮ জনের মধ্যে মৃ”ত্যু হয়েছে আটজনের।
এ পর্যন্ত কুয়েতে করোনায় আ’ক্রা’ন্তের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে বিভিন্ন
দেশের ৪৯৮৩ জন, চিকিৎসাধীন ৩১৬৯ জন, সুস্থতা লাভ করেছেন ১৭৭৬ জন, সংক’টপূর্ণ ৭২ জন।




আজ নতুন করে চারজনের মৃ”ত্যু হয়েছে। একজন ভারতীয় (৪৩) নাগরিক,
এক জন বাংলাদেশি (৪৬) নাগরিক, একজন জর্ডানের (৫৪) নাগরিক ও
একজন পাকিস্তানি (৬১) নাগরিক।




মোট মৃ”ত্যু হয়েছে ৩৭ জনের। এর মধ্যে ১৩ জন ভারতীয় নাগরিক,
২ জন ইরানি নাগরিক,৮ জন বাংলাদেশি নাগরিক, একজন সোমালিয়ার
নাগরিক, দুইজন মিশরীয় নাগরিক, দুইজন জর্ডানের নাগরিক,
একজন ফিলিপানাইনের নাগরিক,
একজন পাকিস্তানি নাগরিক ও ৭ জন স্থানীয় নাগরিক। এছাড়াও দেশটির
বিভিন্ন স্থানে ৩৯২৭ জনকে কোয়া’রেন্টা’ইনে রাখা হয়েছে।
বর্তমানে কুয়েতে অনির্দিষ্টকালের জন্য জরুরি অবস্থা চলছে।




দৈনিক ১৬ ঘণ্টা বিকাল ৪ টা থেকে সকাল ৮টা পর্যন্ত।
সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে চলাফেরায় নির্দেশ, প্রয়োজন ব্যতীত
ঘরের বাইরে বের হওয়া নিষেধ, মাহবুলা ও জিলিব আল সুয়েখ
দুটি এলাকায় লকডাউন চলছে। টেকওয়ে ও হোম ডেলিভারি বিধি মেনে
রেস্টুরেন্ট খোলা, খাদ্যদ্রব্যের দোকান ও জামিয়া (সুপার মার্কেট) খোলা,




হসপিটাল ও ফার্মেসিসমূহ খোলা রাখা। স্বল্প সময়ের জন্য ব্যাংকগুলো খোলা হয়।
যদিও রেমিটেন্স প্রেরণ ৫০ শতাংশের নিচে নেমে গেছে তবুও অর্ধেক কর্মচারী
দিয়ে চালিয়ে যাচ্ছে মানি এক্সচেঞ্জগুলো।




এছাড়া করোনা’ভাই’রাস সংক্র’মণের প্রতিরোধে বিভিন্ন পদক্ষেপ
নিয়েছে দেশটির সরকার। চলছে সরকারি ছুটি বন্ধ থাকবে ২৮ মে পর্যন্ত।
এছাড়া সব ধরনের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান, অফিস আদালত খোলা রাখা নিষিদ্ধ করা হয়েছে।



