হাজার কোটির চাঁ’দা- ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন পরিবহন শ্রমিকদের
উদ্দেশ্যে বলেছেন, ‘আপনারা জানেন কি না জানি না, আপনাদের সংগঠনের নেতারা
দুই হাজার কোটি টাকার চাঁ’দাবা’জি করেন। অথচ আপনারা ৭০ লাখ শ্রমিক না খেয়ে আছেন,
তারা কেউ কোনো খবর নেয়নি।’




রোববার (৩ মে) হবিগঞ্জের চুনারঘাট উপজেলায় এরশাদ আম্বিয়া ফাউন্ডেশনের
পক্ষ থেকে পরিবহন শ্রমিকদের মধ্যে ত্রাণ বিতরণের সময় ফেসবুকে লাইভে তিনি এসব কথা বলেন।সুমন বলেন, যারা শ্রমিকদের এই দুঃসময়ে পাশে না থেকে ঘরে বসে আছে,




তারা প্রকৃত নেতা নয়, চেয়ারের নেতা। মাস্টারদেরও ফান্ড আছে, চা শ্রমিকদেরও
ফান্ড আছে। সেখান থেকে সাহায্য সহযোগিতা করা হয়, কিন্তু আপনাদের ক্ষেত্রে কোনো খবর নাই।
দেশের এই সংক’টকালে পরিবহন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃত্ব দেয়া নেতারা ঘরে বসে আছেন।
এখন শ্রমিকদের নেতারা কোথায় আছেন?




সুপ্রিম কোর্টের এই আইনজীবী বলেন, আপনারা হয়তো জানেন,
এ দেশের সামনে অনেক বড় বিপদ। করোনা হয়তো চলে যাবে কিন্তু
অর্থনীতির বারোটা বাজিয়ে দিয়ে যাবে। কখনও কি ভেবেছিলেন এভাবে বাস
না চালিয়ে মাসের পর মাস বসে থাকতে হবে?
সুমন বলেন, আমি আপনাদের কথা দিচ্ছি, ঈদের আগ পর্যন্ত আপনাদের
সহযোগিতা করে যাব। আমি এলাকার মানুষকে কষ্ট করতে দেব না।
বন্ধ বাসের চাকা, পরিবহন শ্রমিকদের চোখে পানি
করোনার প্রভাবে কর্মহীন হয়ে মানবেতর জীবনযাপন করছেন পরিবহন শ্রমিকরা।




বছরের পর বছর সমিতির কল্যাণ ফান্ডে চাঁ’দা দিলেও এ দু’র্যোগকালে তারা
পাশে পাচ্ছেন না সমিতির নেতাদের। শ্রমিক নেতাদের দাবি, সমন্বয়হীনতার
কারণে অসহায় শ্রমিকদের পাশে দাঁড়ানো সম্ভব হচ্ছে না।
এ অবস্থায় পরিবহন শ্রমিকদের রক্ষায় সরকারি সহায়তার বিকল্প
নেই বলে জানিয়েছেন নেতারা। করোনা ভাই’রাসের সংক্রা’মণ রোধে
সরকারি সিদ্ধান্তের কারণে বাসের চাকা ঘোরেনি এক মাস হয়ে গেছে।
টার্মিনালগুলোতে সারি দিয়ে ফেলে রাখা হয়েছে দেশের প্রতিটি প্রান্তকে সংযোগকারী বাসগুলো।




ফলে বাসের চাকার সাথে জড়িত চালক, হেলপার, সুপারভাইজারসহ সংশ্লিষ্টদের
জীবন-জীবিকাও থেমে গেছে। পরিবার পরিজন নিয়ে এখন অনেকটাই অভুক্ত এ
পেশার মানুষগুলো। শ্রমিকরা বছরের পর বছর সমিতির কল্যাণ ফান্ডে চাঁদা দিয়েছেন
কিন্তু এ দুর্যোগে পাশে পাচ্ছেন না কাউকে।
একজন শ্রমিক বলেন, টার্মিনালে পড়ে আছি কয়েকদিন, কেউ দেখার নেই আমাদের।
শ্রমিক নেতাদের দাবি, সমন্বয়হীনতার কারণেই বিরাজ করছে এ দুরাবস্থা।
শ্রমিক নেতা সেলিম রেজা বলেন, সংগঠনের যে ফান্ড আছে, সমন্বয়ের জন্যই এরকম হচ্ছে।




তবে শ্রমিক সংগঠনের নেতারা বলছেন, তারা শ্রমিকের কল্যাণেই চাঁদার টাকা
ব্যয় করেছেন। বর্তমানে যে সমস্যা তাতে শ্রমিকদের রক্ষায় সরকারি সহায়তা জরুরি।
বাংলাদেশ পরিবহন সংস্থা শ্রমিক সমিতি সাধারণ সম্পাদক মো. মোর্ত্তোজা হোসেন বলেন,
জেলা প্রশাসনের কাছে শ্রমিকদের ত্রাণের জন্য বার বার জানাচ্ছি।



