দেশে প্রথম ক’রোনা আ’ক্রান্ত রো’গী শ’নাক্ত হয় গত ৮ মার্চ।
সে মাসে মোট শ’নাক্ত হওয়া রো’গীর সংখ্যা ছিল ৫১ জন।
এপ্রিলে শ’নাক্ত হওয়া রোগীর সংখ্যা দাঁ’ড়ায় সাত হাজার ৬১৬ জনে।




গত কয়েক দিনে প্রতিদিনই নতুন রো’গী শ’নাক্ত হচ্ছে চার-পাঁচশ বা তারও বেশি।
সং’শ্লিষ্টরা বলছেন, প্রতিদিন যে হারে পরীক্ষা হচ্ছে সেটাও য’থেষ্ট নয় এবং
এটা পুরো দেশের চি’ত্রও নয়। এখনও দেশ সং’ক্রমণের চূড়ায় নয়।




পরীক্ষা সংখ্যা বাড়ালে এবং সাধারণ ছুটি শিথিল করে আনা হলে মে
মাসে অবস্থা আরও ভ’য়ঙ্কর হতে পারে বলে মনে করছেন বি’শেষজ্ঞরা।
এ ব্যাপারে স্বা’স্থ্য খাতের বি’শেষজ্ঞরা বলছেন, আগামী ১৪ দিন কঠিন সময়।




তাই ভী’ষণ স’ত’র্কতা নিয়ে পরিকল্পিতভাবে পার করতে হবে।
যদি সেটা না হয় তাহলে স’র্বোচ্চ সংখ্যক মৃ’ত্যু এবং রো’গী দু’টোই দেখা যাবে মে মাসে।
গত ৮ মার্চ প্রথম রো’গী শ’নাক্ত হওয়ার পর ৮ এপ্রিল পর্যন্ত এক মাসে শ’নাক্ত হওয়া




রো’গীর সংখ্যা ছিল ২১৮ জন। এরপর রো’গী বাড়তে থাকে। ১৮ এপ্রিল রো’গী
শ’নাক্ত হয় ৩০৬ জন। এরপর সংখ্যা শুধুই বেড়েছে। ২০ এপ্রিল ৪৯২ জন,
২৪ এপ্রিল ৫০৩ জন, ২৮ এপ্রিল ৫৪৯ জন এবং গত ২৯ এপ্রিল ৬৪১ জন।




তবে ৩০ এপ্রিল শ’নাক্ত হওয়া ‘রো’গী সংখ্যা তার আগের দিনের চেয়ে
কমে দাঁড়িয়েছিল ছিল ৫৬৪ জন। স্বাস্থ্য অধিদফতরের মহাপরিচালক
অধ্যাপক ডা. আবুল কালাম আজাদ বি’শেষজ্ঞদের বরাত দিয়ে জানান,




আগামী ৩১ মে পর্যন্ত ৪৮ হাজার থেকে ৫০ হাজার মানুষ করোনা
ভাইরাসে আ’ক্রান্ত হতে পারেন এবং মা’রা যেতে পারেন ৮০০ থেকে
এক হাজার মা’নুষ। গত ২১ এপ্রিল ক’রোনাভা’ইরাস প্র’তিরোধ ও প্র’তিকারে
গৃহীত কার্যক্রম পর্যালোচনা এবং পরবর্তী করণীয় বিষয়ে আন্তমন্ত্রণালয়
সভায় তিনি এ ত’থ্য জানান।জানতে চাইলে রো’গত’ত্ত্ব, রো’গ নি’য়ন্ত্রণ ও
গবেষণা প্রতিষ্ঠানের প্রধান বৈ’জ্ঞানিক কর্মকর্তা ডা. এএসএম আলমগীর বলেন,




কোনও মডেলিংই প্রকৃতপক্ষে বাস্তবের সঙ্গে মেলে না। কিন্তু মডেলিং
করা হয় প্রস্তুতিতে সাহায্য করার জন্য। তবে মে মাসের মাঝামাঝিতে ক’রোনার
‘পিক টাইম’ দেখা দিতে পারে বলে মন্তব্য করেছেন ডা. আলমগীর।
ক’রোনা ভা’ই’রাসের প্রা’দুর্ভাবের শু’রুতে রো’গত’ত্ত্ব, রো’গ নি’য়ন্ত্রণ ও
গবেষণা প্রতিষ্ঠানে (আইইডিসিআর) কো’ভিড-১৯-এর ন’মুনা পরীক্ষা
করা হলেও বর্তমানে দেশে পরীক্ষা হচ্ছে ২৮টি ল্যাবরেটরিতে।
এরমধ্যে রাজধানী ঢাকায় ১২টি ও ঢাকার বাইরে ১৬টি প্রতিষ্ঠান এবং
বেসরকারি তিনটি হাসপাতালকে ক’রোনা পরীক্ষার জন্য অ’নুমতি দিয়েছে
স্বাস্থ্য অধিদফতর। যদিও এই হাসপাতালগুলো কেবল তাদের ভর্তি হওয়া
রো’গীদের পরীক্ষা করাতে পারবে।




সিঙ্গাপুর ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি অ্যান্ড ডিজাইন (এসইউটিডি)-
এর ডেটা ড্রাইভেন ইনোভেশন ল্যাবের গ’বেষকরা পূ’র্বাভাস দিয়েছেন,
মে মাসে বাংলাদেশে ক’রোনার প্রকোপ ৯৯ শতাংশ কমে যেতে পারে।




তবে বাংলাদেশ থেকে ভা’ইরাসটির পুরোপুরি বিদায় নিতে সময় লাগতে
পারে ১৫ জুলাই পর্যন্ত। আর সারা বি’শ্ব থেকে ক’রোনা পুরোপুরি বিদায়
নিতে পারে ৮ ডিসেম্বরের মধ্যে। যদিও এর সঙ্গে একমত নন বাংলাদেশি চি’কিৎসকরা।
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মেডিসিন বিভাগের অধ্যাপক ডা. রোবেদ আমিন বলেন, ‘ল’ক’ডা’উন শিথিল করলে রো’গী সংখ্যা বেড়ে যাবে। কিন্তু ল’কডা’উন লম্বা
করে দেয়া হলে কেসগুলোকে সেটেল ডাউন করে ডিলে করে দেয়া হবে।




এভাবে যদি ডিলে করে দেয়া হয় তাহলে আর সং’ক্রমণের চূ’ড়ায় না যাওয়া
হলেও এ প’রিস্থিতি চলতে থাকবে।’ সিঙ্গাপুরের দেয়া তথ্যের সঙ্গে একমত
নন অধ্যাপক রোবেদ আমিন। দেশের ২৮টি জায়গায় নমুনা পরীক্ষা




হলেও প্রত্যন্ত অঞ্চল, উপজেলা এবং অনেক জেলায়ও পরীক্ষা ক’রানো
যাচ্ছে না ম’ন্তব্য করে অধ্যাপক রোবেদ আমিন বলেন, ‘তাহলে পুরো
দেশের চিত্র তো এখনও আমরা পাচ্ছি না। বাংলাদেশে আসলে মোট কতজন




আ’ক্রান্ত সেটা এখনও আমরা জানি না। কেবল প’রীক্ষার ওপর ভিত্তি
করে একটা অ’ঙ্ক করে যাওয়া হচ্ছে।’
‘চী’নের উহা’নের চেয়ে ঢাকার অবস্থা খারাপ মনে হচ্ছে’ মন্তব্য করে
বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক উপাচার্য ও




বিশিষ্ট ভাইরোলজিস্ট অধ্যাপক নজরুল ইসলাম বলেন, ‘মানুষ ল’কডা’উন মানছে না।
ঢাকা শহরের সং’ক্রমিত মানুষের হার এর সঙ্গে মেলালেই সেটা বোঝা যায়।’
চিকিৎসা নৃ’বি’জ্ঞানী ও গ’বেষক আতিক আহসান বলেন,




‘মে মাস আমাদের জন্য ভালো কিছু আনবে না। খারাপ যা হতে পারে সেটা
মে মাসের মধ্যেই দেখবো। এর পরে ধীরে ধীরে রো’গীর সং’খ্যা কম’তে শুরু করবে।’
তিনি বলেন, ‘সারা দেশে রো’গী ছড়িয়েছে এবং সবাইকে শ’নাক্ত করা যায়নি।
এপ্রিলের মাঝামাঝি সময় থেকে রো’গী বা’ড়বে একথা আগেই বলা হয়েছিল।
সে অনুযায়ী মধ্য এপ্রিল থেকেই রো’গী বাড়তে থাকে। আর অন্যান্য দেশের
ট্রেন্ড বলছে, রো’গী বাড়তে শুরু করলে সেটা ৩০ দিন প’র্যন্ত বেড়েই যায়,
তবে আমাদের দেশে এই ৩০ দিনের সঙ্গে অন্য রি’স্ক ফ্যা’ক্টর হিসেবে সাধারণ ছুটি শিথিল,




পোশাক কারখানা এবং রেস্টুরেন্ট খুলে দেওয়ার কারণে মে মাসের তৃতীয়
সপ্তাহ নাগাদ স’র্বোচ্চ রো’গী বা পিক টাইমটা দেখা যাবে। সেটা রো’গী শ’নাক্ত
এবং মৃ’ত্যু-দুই ক্ষে’ত্রেই। তাই মে মাস আমাদের জন্য ভ’য়ঙ্কর। তবে আশার কথা,
তার পরের মাস থেকেই রো’গী কমতে শুরু করবে।’বর্তমানে যেভাবে রো’গী
প্রতিদিন রি’পোর্ট হচ্ছে তাতে সং’ক্রমণটা নি’য়ন্ত্রণে নেই মন্তব্য করে স্বাস্থ্য
অধিদফতরের রোগ নিয়ন্ত্রণ শাখার সাবেক পরিচালক অধ্যাপক বেনজির




আহমেদ বলেন, ‘বর্তমানে সং’ক্রমণ নিয়’ন্ত্রণের জন্য যে ব্যবস্থা রয়েছে সেটা যথেষ্ট নয়।
ল’কডা’উন যদি ধীরে ধীরে তুলে নেয়া হয় তাহলে সং’ক্রমণ বাড়বে এবং
বাড়তেই থাকবে। পুরো মে মাসেই সং’ক্রমণ হতেই থাকবে।’



