ক’রোনায় আ’টকে যাওয়া এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল দ্রুত প্রকাশ ‘
করতে এবার বি’কল্প উদ্যোগ নিয়েছে সবগুলো শিক্ষা বোর্ড। গণপরিবহন
বন্ধ থাকায় পরীক্ষার্থীদের উত্তরপত্র বোর্ডে এসে জমা দিতে পারছেন না পরীক্ষকরা।




তাই স্থানীয় ডাক বিভাগের সহায়তায় উত্তরপত্র বা শিক্ষার্থীদের প্রাপ্ত নম্বর
ওএমআর শিট (অপটিক্যাল মার্ক রিডার) বোর্ডে পাঠাতে বলা হয়েছে।
আগামী ১০ মের মধ্যে এসএসসি ও সমমানের সব উত্তরপত্র বোর্ডে জমা




হলে দুই শিফটে কাজ শুরু করবে শিক্ষা বোর্ড। সেই লক্ষ্য নিয়ে ইতোমধ্যে
কাজও শুরু করেছে শিক্ষা বোর্ডের সংশ্লিষ্ট শাখা।
ঢাকা শিক্ষা বোর্ড সূত্র জানায়, করোনা প্রাদুর্ভাবের মধ্যে চলতি মে মাসের




যেকোনো সময় এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার ফল প্রকাশের প্রস্তুতি
নিচ্ছে সংশ্লিষ্ট শিক্ষা বোর্ডগুলো। এ লক্ষ্যে দেশের সব পরীক্ষকের কাছে
জমা থাকা পরীক্ষার উত্তরপত্র ১০ মের মধ্যে স্থানীয় পোস্ট অফিসের মাধ্যমে




বোর্ড অফিসে পাঠাতে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। আর যাদের সুযোগ আছে তারা
যেন সরাসরি বোর্ডে এসে উত্তরপত্র জমা দিয়ে যান। তবে শহরের বাইরে যারা
আছেন কিংবা যাদের পোস্ট অফিসের সুযোগ নেই তাদেরকে উপজেলা
শিক্ষা অফিসের মাধ্যমে উত্তরপত্র জমা দিতে বলা হয়েছে।




প্রত্যেক শিক্ষা বোর্ডের তালিকায় থাকা প্রধান পরীক্ষকদের মুঠোফোনে খুদে
বার্তার মাধ্যমে এই তথ্য জানিয়ে দেয়া হয়েছে যাতে তারা নিজ দায়িত্বে পোস্ট
অফিসে গিয়ে রেজিস্ট্রি ডাকের মাধ্যমে উত্তরপত্র আগামী ১০ তারিখের মধ্যে




নিজ নিজ শিক্ষা বোর্ডে পাঠিয়ে দেন। শিক্ষা বোর্ডগুলোর ওয়েবসাইটেও
এ বিষয়ে নোটিশ দেয়া হয়েছে। প্রসঙ্গত এ বছর পরিবর্তিত পরিস্থিতির
কারণে শিক্ষা বোর্ডের ওয়েবসাইট ও শিক্ষার্থীদের মুঠোফোনে পরীক্ষার




ফল পৌঁছানোর বিকল্প চিন্তা করা হচ্ছে। এপ্রিলের শেষ দিকে শিক্ষা
বোর্ডগুলোর চেয়ারম্যানদের মধ্যে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে
অনুষ্ঠিত সভায় এমন সিদ্ধান্ত হয়েছে বলে সংশ্লিষ্ট সূত্র জানিয়েছে।




সম্প্র্রতি শিক্ষা বোর্ডগুলোর সাথে অনুষ্ঠিত ভার্চুয়াল সভায় এসএসসি
ও সমমানের ফলাফল প্রস্তুতির কাজ দ্রুত শেষ করতে মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা
বিভাগের সচিব মো: মাহবুব হোসেন শিক্ষা বোর্ডগুলোকে নির্দেশ দিয়েছেন।




অবশ্য এর আগে চলতি মে মাসের মধ্যে এই ফলাফল প্রকাশ করার লক্ষ্যমাত্রা
নিয়ে নির্দেশনা দিয়েছে শিক্ষা মন্ত্রণালয়। ঢাকা শিক্ষা বোর্ডের চেয়ারম্যান
অধ্যাপক মুহাম্মদ জিয়াউল হক গতকাল মঙ্গলবার জানান,
পরিবহন বন্ধ থাকায় আমরা দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে উত্তরপত্র
সংগ্রহ করতে পারিনি। অপেক্ষায় ছিলাম পরিস্থিতি ভালো হলে এবং
পরিবহন চালু হলে পরীক্ষকরা বোর্ডে এসে নম্বরপত্র জমা দেবেন।




কিন্তু এখন বিকল্প হিসেবে পোস্ট অফিসের মাধ্যমেই এই উত্তরপত্র জমা
নেয়া হচ্ছে। আগামী ১০ মের মধ্যে সব উত্তরপত্র বোর্ডে জমা হলে আমরা
বোর্ডের কাজ দুই শিফটে করার প্রস্তুতি নিয়েছি। আশা করছি চলতি
মে মাসের মধ্যেই এসএসসি ও সমমানের পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশ করতে পারব।
এ দিকে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের একটি সূত্র জানায়, চলতি মে মাসের শেষভাগে বিশেষ
করে ২০ থেকে ২৫ তারিখের মধ্যে টার্গেট করে শিক্ষা বোর্ডগুলোকে রেজাল্ট




প্রকাশের সব ধরনের প্রস্তুতি নিতে বলা হয়েছে; যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে
ফল প্রকাশ করা যায়। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা বিভাগের
সচিব মো: মাহবুব হোসেন এ বিষয়ে জানান, করোনার কারণে যদিও ফল




প্রকাশে কিছুটা দেরি হচ্ছে তবে শিক্ষা বোর্ড চেয়ারম্যানদের সাথে
সম্প্রতি বৈঠকে তারা জানিয়েছেন এসএসসি পরীক্ষার ফলাফল তৈরির
বেশির ভাগ কাজ শেষ হয়েছে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পরবর্তী
দুই সপ্তাহের মধ্যে এসএসসি ও সমমানের ফলাফল প্রকাশ করা সম্ভব হবে।




সুত্রঃ সোনালীনিউজ