বাংলাদেশে লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে ক’রোনা শ’নাক্তে’র নতুন রো’গীর সংখ্যা।
ক’রোনায় মৃ’ত্যুর সং’খ্যা’ও পা’ল্লা দিয়ে বাড়ছে। আমরা যতই বলছি যে,
বাংলাদেশে ক’রোনা নি’য়ন্ত্রণের ম’ধ্যে আছে, বাংলাদেশ ক’রোনা সং’ক্র’মণের চূ’ড়ান্ত সীমায়




পৌঁছে গেছে। কিন্তু শ’নাক্ত, মৃ’ত্যু কো’নোটাকেই দাবিয়ে রাখা যাচ্ছে না।
এখন স্পষ্টত করোনা ভা’ইরাস বা কো’ভিড-১৯ বাংলাদেশে চোখ রা’ঙাচ্ছে।
বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন যে, ২৬ মার্চ থেকে যে সরকারি ছুটি ঘোষণা করা হয়েছিল,




সেই ছুটি যথাযথভাবে পালিত না হওয়ার কারণে ক’রোনার সামাজিক সংক্রমণ
ব্যাপকভাবে বৃ’দ্ধি পাচ্ছে। বি’শেষজ্ঞরা বলছেন যে, এটাকে ছুটি না বলে যদি লকডাউন
বলা হতো এবং সাধারণ মানুষের মধ্যে ঘ’রে থাকার বা’ধ্যবাধকতা তৈরি করা যেত,
তাহলে এই ছুটি হয়তো ভালো কাজে লাগতো। তারপরও ২৬ মার্চ থেকে ঘোষিত
ছুটির প্রথম দিকে মানুষ ঘরে থাকলেও ক্রমশ ঘর থেকে বের হতে থাকে।
এই ছুটির বারোটা বাজে যখন গার্মেন্টসসহ ক’লকারখানাগু’লো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়




এবং সাথে সাথে সরকারি অফিস আদালত বা অন্যান্য জরুরী প্রয়োজনীয়
জিনিসপত্র খুলে দেওয়া হয়। বি’শেষজ্ঞরা বলছেন যে, ছুটির আসলে
প্রথম ফাঁটল ধরে গত ৫ এপ্রিল যখন বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে বিজিএমইএ’র বৈঠকে
গার্মেন্টসগুলো খুলে দেওয়ার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়। এবং সে সময় গার্মেন্টস না খুললেও
হাজার হাজার গার্মেন্টস শ্রমিক ঢাকা শহরে আসতে শুরু করে। এখান থেকেই
সামাজিক সং’ক্রমণের যে ম’হা’মারী, সেটার সূ’ত্রপাত বলে বি’শেষজ্ঞরা মনে করছেন।




পরবর্তীতে ২৬ এপ্রিল থেকে যখন গার্মেন্টসগুলো খুলে দেওয়ার সি’দ্ধান্ত নেওয়া হয়,
তারপর থেকে বাংলাদেশে ক’রোনার ‘সং’ক্রমণ লা’ফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে। এই ক’রোনার
সং’ক্রমণ কোথায় গিয়ে ঠেকবে, তা নিয়ে বি’শেষজ্ঞরাও অজানা আ’তং’কে ভু’গছেন।
বাংলাদেশে গত দুই সপ্তাহে প্রতি ৪৮ ঘন্টায় এক হাজারের বেশি ক’রোনা রো’গী শ’নাক্ত হয়েছে।
এখন তা দেড় হাজার অতিক্রম করেছে। আমরা যদি দেখি যে, ২৭-২৮ এপ্রিল দুই দিনে ১
হাজার ৪৬ জন নতুন শ’নাক্ত ছিল। তার পরের ৪৮ ঘন্টায় ১ হাজার ৮৭ জন।




তার পরের ৪৮ ঘন্টায় ১১শ’ ২৩ জন। ৩-৪ মে’তে ১৩শ’ ৫৩ জন।
৫-৬ মে’তে এখন পর্যন্ত সর্বোচ্চ ১৫শ’ ৭৬ জন। আর ৭-৮ মে’তে ১৪শ’ ১৫ জন
এবং সর্বশেষ দুই দিন অর্থাৎ ৯-১০ এপ্রিল ১৫শ’ ২৩ জন শ’নাক্ত হয়েছে।
এই উল্লম্ফন যদি হতে থাকে তাহলে বাংলাদেশে ক’রোনা ‘শ’নাক্ত রো’গীর
সংখ্যা বাড়বে। আর এই বাড়াটাই হলো বাংলাদেশের জন্য সবচেয়ে উদ্বেগজনক।
সুত্রঃ একাত্তর জার্নাল



