ম’হামা’রি ক’রো’নাভাই’রাস পৌঁছে গেছে মহাবন আমাজনের গহীন অরণ্যেও।
বিখ্যাত আমাজন নদীর তীরবর্তী অ্যামাজোনাস প্রদেশে প্র’তিনিয়ত বাড়ছে মৃ’ত্যুর মিছিল।
আ’ক্রান্তের সংখ্যা ছাড়িয়ে গেছে ২০ হাজার। মা’রা গেছে ১ হাজার ৪০০ জনের অধিক।




খোড়া হচ্ছে গণকবর। সে কারণে আ’তঙ্কে আছে আমাজনের অরণ্যের বিভিন্ন আদিবাসী
ও উপজাতিরা। সংকটময় এই সময়ে কিভাবে ক’রো’নার চি’কিৎসা করছেন তারা?
এ সময় অরণ্যময় খুঁ’জে বেড়াচ্ছেন ও’ষুধি বৃক্ষ। যেটা তাদের পূ’র্বপু’রুষ’রা শত শত




বছর ধরে ব্যবহার করে আসছে নানা অ’সুখ-বি’সুখে। ক’রো’নার চি’কিৎসার ক্ষেত্রে তার ব্যতিক্রম হয়নি।
যেমনটা বলেছেন আদিবাসীদের নেতা অ্যা’ন্দ্রে সা’তেরি মাউয়ি, ‘আম’রা লক্ষণ অনুযায়ী
আমাদের চিরাচরিত ও ঐতিহ্যগত ওষুধ দিয়ে চিকিৎসা করছি। আম’রা বংশ প’র’ম্পরায় ও’ষুধি গাছের




ব্যাপারে যে জ্ঞা’ন অর্জন করেছি, যে অ’ভিজ্ঞ’তা অ’র্জন করেছি সে আলোকে চিকিৎসা করছি।
বিভিন্ন রো’গের, বিভিন্ন লক্ষণের ভিন্ন ভিন্ন চি’কিৎসা করছি।’ ক’রো’নার চি’কিৎসার
ক্ষেত্রে আদিবাসী ও উপজাতিদের মধ্যে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে কা’রাপা’নাউবা গাছের বাকল।
যেটা দিয়ে চা তৈরি করে তারা পান করছে। যেটার রয়েছে প্রদাহ’জনিত সমস্যা দূর করার ক্ষমতা।
ব্যবহার করছে ম্যালেরিয়ার অ’সুখে’র চিকিৎসায় ব্যবহৃত সারাকুরামিরা গাছ। এ দুটির পাশাপাশি আ’মের
ছোকলা, পুদিনা ও মধু ব্যবহার করছে। এসব শত শত বছরের পুরনো ব’না’জি ও’ষুধ খেয়ে




কেউ কেউ করো’না থেকে সেরও উঠছেন। যেমনটা বলেছেন ভালদা ফেরেই’রা ডি সুজা,
‘আমা’র বেশ দু’র্বল লাগছিল। মনে হচ্ছিল আমা’র ফু”সফুঁসে কোনো সমস্যা হচ্ছে। আমি ঠিকমতো
নিঃ’শ্বা’’স নিতে পারছিলাম না। এরপর আমি বাসায় তৈরি সিরাপ পান করি। সেটা পান করে ভা’লোবোধ
করি।’ এই ওষুধ তৈরি করাটা আন্দ্রে সাতেরি মাউয়ি শিখেছেন তার দাদা মা’র্কোসের কাছ থেকে।
বর্তমানে তার বয়স ৯৩ বছর। তিনি যা জানেন তা শিখিয়ে যাচ্ছেন সাতেরিকে।
ব্রাজিলের আদিবাসী জনগোষ্ঠীর সংগঠনের দেওয়া তথ্য অনুযায়ী আমাজনের ৪০টি আদীবাসী গোষ্ঠীর
মধ্যে ছড়িয়ে পড়েছে করো’না’ভাই’রাস। আ’ক্রান্ত করেছে ৫৪০ জনকে। এ পর্যন্ত মা’রা গেছে ১০২ জন।



