মরণ ব্যাধি ক’রোনা মালয়েশিয়ায় ব্যাপক তাণ্ডব চালাচ্ছে। এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে দেশটির সরকার বিদেশী
কর্মী নি’য়োগে বড় ধরনের পরিবর্তনের ঘো’ষণা করেছে। এই সাথে দেশটিতে অবৈধ ভাবে মালয়েশিয়ায় প্রবেশ
ব’ন্ধে ক’ঠোর নি’রাপত্তা তৈরি করবে মালয়েশিয়া এমনটাই জানিয়েছেন সেদেশের সিনিয়র মন্ত্রী (সিকিউরিটি)।




বৃহস্পতিবার (৪জুন) করোনা ভা’ইরাস পরবর্তি সেদেশের বে’কারত্ব দূর করে অর্থনৈতিকে চাঙ্গা করতে
সাং’বাদিকদের এসব কথা বলেন সেদেশের সিনিয়র মন্ত্রী (সিকিউরিটি) দাতুক সেরি ইসমাইল সাবরি ইয়াকুব।
তিনি বলেন, বিদেশী কর্মী নিয়োগের নীতি এবং অ’বৈধ অ’ভিবাসীদের জন্য কভিড -১৯ প’রবর্তী অ’ভিবাসন




(পাতি অবৈধ অভিবাসী) অ’ভিবাসীদের নিয়ন্ত্রণের নীতিতে দেশটি উল্লেখযোগ্য প’রিবর্তন দেখাবে।
এ বিষয়ে বিশদ বিবরণ দিয়ে তিনি বলেছিলেন যে, মা’লয়েশিয়া ও পাশ্ববর্তি সিঙ্গাপুর সহ আরও বেশ
কয়েকটি দেশ কভিড -১৯ বৃদ্ধিতে বৈ’ধ- অ’বৈধ অ’ভিবাসীদের মাঝে সচেতনতার অ’ভাবে আ’ক্রান্তের
সংখ্যা বৃদ্ধি পায়।
তারই অংশ হিসাবে বিদেশিদের প্রবেশে নতুন করে অনুসরণ করে নীতিটি সংশোধন করার সময় এসেছে।
কারণ বিদেশী কর্মী নিয়োগের নীতিতে এবং অবৈধ বিদেশীদের আ’গমনকে বাধা দেওয়ার ক্ষেত্রে উল্লেখযোগ্য
পরিবর্তন হবে। আমরা লক্ষ্য করেছি, ক’ভিড -১৯ এর প্রাদুর্ভাবের ফলে পর্যটন খাতসহ বিভিন্ন ভাবে অর্থনীতি




ব্যাপকভাবে ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে, এতে অনেক হোটেল ও কারখানা বন্ধ হয়ে গিয়েছিল এবং শ্রমিকদের
অপসারণের ফলে বেকারত্ব বেড়েছে। যার কারণে পরবর্তী অ’র্থনৈতিক পু’নরুদ্ধার ধীর হতে পারে উল্লেখ করে
তিনি বলেন, সরকারের নীতি হবে বিদেশিদের চেয়ে স্থানীয় মানুষকে স্থানীয়ভাবে কাজ করাতে অগ্রাধিকার




দেওয়ার পাশাপাশি বিদেশি ক’র্মীদের সংখ্যা হ্রাস সং’ক্রান্ত নীতি পর্যালোচনা করার জন্য সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের
সাথে আলোচনা করা হবে বলে তিনি জানান। তিনি আরো বলেন, এই নীতিগত পরিবর্তনগুলি ছাড়াও,
এটিও লক্ষ করা যায় যে অবৈধ অভিবাসীদের দেশে প্রবেশের বিষয়টি কখনই শেষ হয় না। যার কারণে
সী’মান্তে নিয়ন্ত্রণ আরও জোরদার করতে বিভিন্ন সংস্থার সমন্বিত বিশেষ দল গঠন করা হয়েছিল।যার
কারণে অ’বৈধ অভিবাসীদের প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হয়েছে। তিনি আরো বলেন, বুধবার সেদেশে ৯৩ জন
করোনা পজেটিভের মধ্যে ৯০ জন বিদেশি অভিবাসীদের মধ্যে করোনা আক্রান্ত হয়েছে। বুধবারের খবর




অনুযায়ী মালয়েশিয়ায় করোনা ভাইরাস মোকাবেলায় সাফল্য অর্জন করলেও ডিটেনশন ক্যাম্পে আটকদের
মধ্যে বাড়ছে করোনায় আক্রান্তের সংখ্যা। যার কারণে সেদেশে অবস্থানরত অ’বৈধ অভিবাসীদের আটক
করে করোনা পরীক্ষা করছে অভিবাসন বিভাগ। কিন্তু দেশে ফেরার অপেক্ষায় থাকা ডিটেনশন ক্যাম্পে




আটকদের মধ্যে আক্রান্ত হয়েছে ৪৬৬জন। যার মধ্যে প্রথমে রয়েছে ইন্ডিয়ার ১২৩ জন।দ্বিতীয় অবস্থানে
রয়েছে বাংলাদেশের ১০৮ জন। এছাড়াও ইন্দোনেশিয়ার ৭৬, মায়ানমারের ৬৬, পাকিস্তানের ৪৫, চায়নার ১৮,
শ্রীলঙ্কার ৭, নেপালের ৫, কম্বোডিয়ার ৪, মেসির ২জন ও নাইজেরিয়া,লাউচ, লিবিয়া, সিরিয়ার একজন করে ও
৪জনের দেশের নাম জানাযায়নি।



