ধর্ম পরিবর্তন করার সময় অর্থাৎ ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করার সময় তাদে’র বয়স ১৮ বছরের ঊর্ধ্বে
ছিল এমন ডাক্তারি প্রতিবেদনের পর ইসলামাবা’দ হাইকোর্ট এক আদেশে পাকিস্তানের সিন্ধু
প্রদেশের গোটোকি জেলার আলোচি’ত দুই বোন আসিয়া এবং নাদিয়া’কে নিজেদের স্বামীদের




সাথে বসবাস করার অনুমতি দিয়েছেন। পাকিস্তানের টেলিভিশন চ্যানেল ‘এআরওয়াই নিউজ’
এর বাখাবার সাওয়ে’রা নামক অনুষ্ঠানে আসিয়া এবং নাদিয়া বলেন, ‘ইসলাম গ্রহণ করার জন্য
কেউ আমাদের উপর চাপ প্রয়োগ করে নি। আম’রা শৈশব থেকেই মুসলিম হতে চাইতাম।’




তারা একই সাথে জানায় যে, ভারত থেকে তাদে’র মা তাদের’কে বাড়ি ফিরে আসার জন্য আহ্বান
জানিয়েছেন কিন্তু তারা আর সেখানে যেতে রাজি নয় বলেও জানান। আসিয়া বলেন,
‘আমরা আমাদের বাড়িতে ফিরে যেতে পারি না, আমরা আমাদে’র স্বামী’দের সাথে বসবাস করতে চাই।’




তাদের স্বামী সাফদার আলি এবং বারা’কাত আলি সেই অনুষ্ঠানে দুই বোনকে জোর পূর্বক মুসলিম
বানানো হয়েছে এমন অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, এই নারীরা আদালতে এবং গণ’মাধ্যমের
সামনে বলেছেন যে, ধর্ম পরিবর্তনে কেউ তাদের প্রতি জোর খাটায় নি এবং তারা নিজেদের ইচ্ছায়
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করেছে।




তারা আরো বলেন, ভারত পাকিস্তানে’র বিরুদ্ধে এমন প্রোপাগান্ডা প্রচার করে যে দেশটি
সংখ্যালঘুদের জন্য বসবাসের উপযুক্ত নয়। এই দুই ভাই বলেন, ‘পাকিস্তা’নে যখনই কোনো নারী
ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করে তখন ভারত বলে যে, হয় তারা কম বয়সী না হয় তাদের জোর করা হয়েছে।
এসকল অভিযোগে’র কোনোটিই এ ক্ষেত্রে সত্য নয়।’



