আগামী ৩ নভেম্বর অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে মা’র্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচন। এবার এই ভোট নিয়েও
বেফাঁ’স মন্তব্য করে বসলেন যু’ক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রা’ম্প। ডাক-যোগে ভোট নিয়ে আগেই
আ’পত্তি জানিয়েছিলেন ট্রা’ম্প। এমনকি এভাবে প্রেসিডেন্ট নির্বাচন হলে ভোট-জালিয়াতি হতে পারে




বলে ডেমোক্র্যাটদের দিকে আঙুলও তুলেছিলেন তিনি। কিন্তু তার কোনও আ’পত্তিই ধোপে টেকেনি।
এবার তাই কার্যত ম’রিয়া হয়েই তাকে বলতে শোনা গেল, ভোট হবে, কিন্তু ভোটের ফল হয়তো কোনও
দিনই বের হবে না! কাউন্সিল অব ন্যাশনাল পলিসির একটি সভায় বক্তৃতা দিতে গিয়ে শনিবার




ট্রা’ম্প বলেন, “ভোটের দিনই ফল ঘোষণার যে রেওয়াজ রয়েছে, এবার তা সম্ভব নয়। আমা’র তো মনে হয়,
সপ্তাহের পর সপ্তাহ, মাসের পর মাসও কে’টে যেতে পারে। হয়তো কোনওদিন জানতেই পারবেন না, কে
জিতলেন!” করো’না-ত্রাসের আবহে একটা সময়ে ভোট পিছিয়ে দেওয়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রা’ম্প।




বিশেষজ্ঞদের একাংশের দাবি, জনপ্রিয়তার নিরিখে প্রতিদ্বন্দ্বী ডেমোক্র্যাট পদপ্রার্থী জো বাইডেনের থেকে
পিছিয়ে থাকার কারণেই চাপে পড়ে এমন প্রস্তাব দিয়েছিলেন ট্রা’ম্প। তার সেই প্রস্তাবে আমল দেয়নি
বিরোধীশি’বির। ভোট হচ্ছে নির্ধারিত ৩ নভেম্বরেই।




এখনও পর্যন্ত পাওয়া খবর অনুযায়ী, মহামা’রী আবহে এবার অন্তত ৫ কোটি মা’র্কিন নাগরিক ডাক-যোগে
ব্যালট পেপারে ভোট দেবেন। ট্রা’ম্পের দাবি, এই ভোট গণনাতেই দীর্ঘ সময় কে’টে যাবে।
পাশাপাশি, এই ভোটে কারচুপি এবং ফল ঘোষণাকে চ্যালেঞ্জ করে আইনি মা’মলাও প্রেসিডেন্ট নির্বাচনের




পুরো প্রক্রিয়াকে অনেক বেশি দীর্ঘায়িত করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞদের একাংশ। তাই ট্রা’ম্পের
দাবি অমূলক নয় বলেও দাবি বিশেষজ্ঞদের একাংশের। বাকিরা আবার এর পিছনে ট্রা’ম্পের পাল্টা
চাপ দেওয়ার মানসিকতাকেই দুষছেন।




এপ্রিলের নিরিখে বাইডেনের জনপ্রিয়তা খানিক কমলেও, এখনও তিনি ট্রা’ম্পের চেয়ে প্রায় আট পয়েন্টে
এগিয়ে। তাই ক্রমশ স্নায়ুর চাপ বাড়ছে ট্রা’ম্পের। এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়েই শনিবার ট্রা’ম্প বলেন,
“পুরো ব্যাপারটাই কেমন অলীক মনে হচ্ছে।




৫ কোটি ব্যালট-ভোটের জন্য আম’রা আদৌ প্রস্তুত নই। দেশের পক্ষে এ এক অ’ত্যন্ত বিব্রতকর
পরিস্থিতি। গণতন্ত্রের পক্ষেও সমস্যাটা গুরুতর।” সূত্র: এনডিটিভি সমস্যাটা গুরুতর।” সূত্র: এনডিটিভি







