নিরাত আল আশরাফি নামে নববিবাহিত এক তরুণের বৌভাত অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে
শুধুমাত্র সুবিধাবঞ্চিত শি’শুদের। তাদের জন্যই এ আয়োজন। ফলে ওই অনুষ্ঠানে প্রাথমিক বিদ্যালয়ের
শতাধিক শি’শু পেট পুরে খাওয়ার সুযোগ পেয়েছে।




নীলফামা’রী সদর উপজে’লার কচুকা’টা ইউনিয়নের কোরানী পাড়ায় সামাজিক দূরত্ব বজায় রেখে
এবং স্বাস্থ্য বিধি মেনে প্রাথমিকে অধ্যয়নরত দরিদ্র পরিবারের শি’শুদের খাওয়ানোর ব্যতিক্রমী
এ উদ্যোগ নেন নিরাত আল আশরাফি।




রোববার (২৩ আগস্ট) দুপুর ১২টা থেকে বিকেল ৩টা পর্যন্ত এলাকার আমন্ত্রিত শি’শুদের খাওয়ানো হয়
উন্নতমানের খাবার। তালিকায় ছিলো পোলাও, ভাত, ডাল, ডিম, সালাদ, সবজি, মাছ, মাংস, মিষ্টি, কোমল
পানীয় প্রভৃতি। স্থানীয় শিক্ষক আয়েশা সিদ্দিকা সুমি বলেন, দু’টি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের খাওয়ানোর জন্য




আম’রা যোগাযোগ করি সেইফ ফাউন্ডেশনে। তারা আমাদের আহ্বানে সাড়া দেন এবং প্রস্তুতি নেন।
সে হিসেবে ওই যুবকের বিয়ের বৌভাত অনুষ্ঠান এখানে আয়োজন করেন এবং দরিদ্র পরিবারের
এসব শি’শুকে খাওয়ানোর উদ্যোগ নেন। স্থানীয় বাসিন্দা আয়েশা খাতুন বলেন, আম’রা সচরাচর দেখি




বৌভাতে আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশী ও বন্ধু-বান্ধবদের আমন্ত্রণ জানিয়ে খাওয়ানো হয়, কিন্তু এখানে
ব্যতিক্রমী একটা অনুষ্ঠান হয়েছে। এলাকার শি’শুরা খেয়েছে, এতেই আমি খুশি। সেইফ ফাউন্ডেশনের প্রধান
স্বেচ্ছাসেবক রাসেল আমিন স্বপন বলেন, সদ্য বিবাহিত নিরাতকে হতদরিদ্র শি’শুদের জন্য কিছু করার




প্রস্তাব দিলে তিনি বৌভাতে শুধু তাদের খাওয়ানোর উদ্যোগ নেন। তারই উদ্যোগে এবং সেইফ
ফাউন্ডেশনের প্রচেষ্টায় শহর ছেড়ে গ্রামের একশ’ সুবিধাবঞ্চিত শি’শুকে বিয়ের উৎসবে দুপুরে
খাওয়ানো হয়েছে। এজন্য কৃতজ্ঞ নিরাতের কাছে। নিরাত আল আশরাফী ও ফারজানা ইয়াসমিন




দম্পতি টেবিল ঘুরে ঘুরে খাবার পরিবেশন তদারকি করেছেন। নিরাত আল আশরাফী বলেন, গেল ১৪ আগস্ট
বিয়ে হয়েছে আমা’র। অনুষ্ঠান করা হয়নি। করো’নার সময়ে অনেকে ক’ষ্টে রয়েছেন। বিশেষ করে দরিদ্র




পরিবারের শি’শুরা। সেইফ ফাউন্ডেশনের প্রস্তাবের পর বিয়ের আয়োজন হিসেবে বৌভাত দরিদ্র
পরিবারের শি’শুদের সঙ্গে করার উদ্যোগ নেই। এখানে শি’শু ছাড়া কাউকে বলা হয়নি।







