আসসালামুয়ালাইকুম। আসা করি সবাই ভাল আছেন। আজকে আপনাদের একটা ভীন্ন প্রসঙ্গ নিয়ে কিছু বলব।
কে জানে হয়ত আমার এ টিউনটার মাধ্যমে একটি মানুষ হলেও সচেতন হয়ে যায়। স্বপ্নের দেশ বিদেশ ছোট বেলা
থেকে এটাই আমরা বিশ্বাস কর্বে আসছি। বর্তমানে আমাদের বুঝ বিবেচনার পরিবর্তন হয়েছে এখন আমরা জানি




বিদেশ গীয়ে কাজ করলে টাকা উপার্জন করা যায়। আমার বাবা একজন সৌদি প্রবাসী গত ১৪ বছর থেকে তিনি
সৌদি আছেন গত মাসের ২৩ তারিখ তিনি দেশে আসেন। জানেন ১৪ বছর পর আমার বাবা বিদেশ থেকে এসেছে।
সৌদি আরব যাবার পর তিনি কোন বৈধ কাগজ পত্র পাননি লুকীয়ে লুকীয়ে কাজ করতেন। শেষ মেষ কিছুদিন




আগে সৌদি সরকার অবৈধ লোকদের বৈধ করে। চাইলে তিনি আরও অনেক আগে দেশে আসতে পারতেন কিন্তু
আমাদের কথা ভেবে থেকে গেছেন। বাবার মুখে সৌদির অনেক গল্প সুনলাম কিন্তু একটা কথা সুনে আমার কেমন
যেন লাগল তা হল তাদের দেশের মানুষ নাকি ভাল না।আমি বিস্তারিত জানতে চাইলাম না। গত কিছুদিন থেকে




আপনারা হয়ত দেখে থাকবেন সৌদি আরব বাংলাদেশ থেকে শ্রমিক নেওয়ার ব্যাপারে নিষেধাজ্ঞা তুলে নিয়েছে।
তাই অনেক মানুষ লাইনের পর লাইন ধরে দাড়িয়ে নীবন্ধন করছেন। ঠিক আছে কিন্তু দ্বিমত পোষণ করার কারন
এখানেই যে পুরুষ শ্রমিকের পাশাপাশি তারা নারী গৃহ কর্মী নেবার ব্যাপারে সরকারের সাথে চুক্তি করেছে। আমার




বাবা শুনতেই বলে আরে দেখ এবার আবার একটা সমস্যা তৈরি হবে ওদের দেশের মানুষ কাজের লোক পেলে
একটা বান্দি পাইছে বলে ভাবে তাছারা তাদের দেশের মানুষ ভাল না। আমি আসলে বুঝতে পারছীলাম তিনি কি
বুঝাতে চেয়েছেন। আপনি জানেন সৌদি আরব গৃহ কর্মী মানে একটা জাহান্নামের আস্তানা?




আজ এমন কিছু প্রমান আপনাদের দেখাব যা দেখে আপনার শরীরের প্রতিটা লোম শিহরে উঠবে। এরা মানুষকে
কি শুধু যে মারধর তা নয় সবচেয়ে জঘন্য কাজ হচ্ছে মহিলা গ্রীহ কর্মীকে যৌ’ন নি’র্যাতন যার জন্য কোন দেশের
মহিলা গৃহ কর্মী সউদী আরব যেতে চান না। ইন্ডিয়া, শ্রীলঙ্কা, ইন্দোনেশিয়া সহ কয়েকটা দেশ মহিলা গৃহ কর্মী সৌদি




আরব দেয় না। ঠিক যখন কোন দেশ মহিলা গৃহ কর্মী দেয় না তখন তারা পছন্দ করে বাংলাদেশকে।
আমি এই টিউনটির মাধ্যমে অনুরধ করছি কোন মহিলা গ্রীহ কর্মী যেন সৌদি আরব যেন কেউ না পাঠায়।
তাহলে আপনি কী করবেন সৌদি আরব জাবেন না? অবশ্যই…পুরুষ গৃহ কর্মী অত্যাচার সহ্য না করেও




পালিয়ে যেতে পারে কিন্তু মহিলারা তা পারেনা। গৃহ কর্মী ছাড়া কি কোন কাজ নেই? অবশ্যই আছে…
বর্তমানে ২৫ লাখ বাংলাদেশী সৌদি আরব আছে। তারা কি কাজ করছে না? হ্যাঁ করছে… সৌদি তে কি কোন




আইন নেই? হ্যাঁ আছে আর যে আইন আছে তা আর কোন দেশে নেই…বন্ধুরা আমার টিউন টি শুধু মহিলাদের না
পাঠানোর নিয়ে। তাই কেউ ভাববেন না কাউকে বিদেশ যাবার ব্যাপারে নিষেধ করছি। আমি সবাইকে সতর্ক করার
চেষ্টা করছি। আমাদের দেশের মানুষ অনেক কিছু বোঝে না যার জন্য আমরা নিজের পায়ে নিজে কুড়াল মারি।




আপনি বিশ্বাস করবেন কিনা জানিনা আমার পরিচিত একটা মেয়ে যাকে আমি আপা বলে ডাকি তিনি চট্রগ্রাম ই পি
জেড এ চাকরি করতেন। হঠাৎতিনি বাড়ীতে চলে যাবেন আমি কারণটা জানতে চাইলে বলেন অনার ভাই চাকরি
করতে বারন করেছেন। আমি আর কিছু জিজ্ঞেস করিনি আর আমার দরকারটা কি… কিছুদিন পর শুনলাম তিনি




বিদেশ যাবেন আমি বললাম কি কাজে…? তিনি আমাকে উত্তর দিলেন হোটেলে কাজ করবেন…!!
কথাটা সুনে বিশ্বাস করতে পারলাম না অনেক্ষন নির্বাক হয়ে ছিলাম। পরে ভাবলাম রান্নার কাজে জিজ্ঞেস
করতেই বলেন আরে না…তো? তিনি জানেন না তার এক আপা নিয়ে জাচ্ছেন পরিচিত। যেখানে বাংলাদেশে




নিজের বোনকে দিয়ে মানুষ যৌ’ন বাবশা করাতে দ্বিধাবোধ করে না সেখানে ডাকা বোন কিভাবে করাবেনা তা
আমার মাথায় ধরে না। আপনারা বলেন বিদেশ মেয়েদের হোটেলে রান্না ছাড়া আর কি কাজে নিতে পারে? ভাই
আমাদের মা বনদের সচেতন করেন। যারা সৌদি আরব যাবার জন্য আগ্রহী তারা সঠিক তথ্য জেনে তবেই পা
বাড়াবেন।



