পৃথিবীতে বিয়ের নানান অদ্ভুদ প্রথার প্রচলন রয়েছে। কিন্তু বিয়ের আগে মেয়েকে গ’র্ভবতী ‘হতে হবে এমন নিয়ম শুনলে চোখ কপালেই উঠার কথা। ভারতের পশ্চিমব’ঙ্গের জলপাইগু’ড়িতে একটি উপজাতি রয়েছে যেখানে মেয়েদের বিয়ের আগে গ’র্ভবতী ‘হতে হয়। তারপরই সে বিয়ে করার অনুমতি পায়। এটি তাদের সামাজিক প্রথা।








জলপাইগু’ড়ির তোটপাড়া শহরে এই উপজাতির বাস। তারা যুগযুগ ধ’রে অদ্ভুত এই প্রথা অনুসরণ করে আ’সছে। এর পেছনের কারণ হলো, উপজাতিটির সদস্য সংখ্যা ধীরে ধীরে কমছে। তারা নিজেদের টিকিয়ে রাখতেই এমন প্রথা সৃষ্টি করেছে।




প্রথা অনুসারে, মেয়ে এবং ছেলে এক বছরের জন্য লিভ-ইন স’স্পর্কে জড়ায়। যদি মেয়েটি এই সময়ের মধ্যে গ’র্ভধারণ করে বা সন্তান জ’ন্ম দেয় তবেই উভয় পরিবারের মুরুব্বিদের আশীর্বাদে দুজনের বিয়ে সম্পন্ন হয়।




সাধারণত বেশিরভাগ ক্ষেত্রে ছেলেরা কাজিনদের স’ঙ্গে স’স্পর্ক তৈরি করে। দুজন তখন ছেলের বাড়িতে একস’ঙ্গে থাকতে শুরু করে। এই নিয়মটি ক’ঠোর ভাবে অনুসরণ করা হয়। গ’র্ভবতী হওয়ার পর কেউ বিয়ে ক’রতে না চাইলে বা ছেলেটি অস্বী’কার করলে ক’ঠোর সাজা দেয়া হয়।




এই উপজাতির মধ্যে কেবল বিয়ে নয়, বিবাহ বি’চ্ছেদের বিধিও অদ্ভুত। উপরোক্ত প’দ্ধতিতে বিবাহের পরে যদি কোনো ছেলে বা মেয়ে বিবাহ বি’চ্ছেদ ক’রতে চায় বা আ’লাদা ‘হতে চায় তবে তাকে একটি বিশেষ পূজা ক’রতে হয়।




এটি অনেক ব্যয়বহুল। তাই এই উপজাতির মধ্যে বিবাহ বি’চ্ছেদের ঘ’টনা কম। তারপরও যদি বিবাহ বি’চ্ছেদ ঘ’টেই যায়, তাহলে ছেলে এবং মেয়েটি ছয়-সাত মাসের ব্যবধানে পুনরায় আ’লাদা স’ঙ্গী নির্বাচন ক’রতে পারে।



