সিলেটের কানাইঘাট দারুল উলূম মাদ্রাসার আলেম ও রাজনীতিবিদ মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরীর (রহ.) ক’বর থেকে সুগন্ধি ছড়াচ্ছে বলে দা’বি করছেন তার অনুসারীরা। গত বুধবার রাত ৮টার দিকে এ খবর ছ’ড়িয়ে পড়লে




মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে ভিড় ক’রতে শুরু করে মানুষ। দূ’র-দুরান্ত থেকে আসা অনেকে জা’নিয়েছেন, ক’বর থেকে সুগন্ধি আ’সছে।খোঁ’জ নিয়ে জা’না যায়, কানাইঘাট উপজে’লা সদরে অবস্থিত দারুল উলুম কানাইঘাট মাদ্রাসা প্রাঙ্গনে মাওলানা মুশাহিদ বায়মপুরীর (রহ.) ক’বর রয়েছে। তিনি ১৯৭১ সালের ৭ ফেব্রুয়ারি মা’রা যান। সেই হিসেবে তার




মৃ’ত্যুর ৫০ বছর পেরিয়েছে। এ সময়ের মধ্যে আরও তিনবার তার ক’বর থেকে সুগন্ধ বেরিয়েছে। এটি অলৌকিক ঘ’টনা বলেও মনে করেন এলাকার জনসাধারণ। মাদ্রাসার শিক্ষক ক্বারী হারুনুর রশীদ চতুলী বলেন, ‘বুধবার মাগরিবের নামাজে’র পর ছাত্ররা ক’বর জিয়ারতে গেলে সুগন্ধ অ’নুভব করেন। পরে তারা আমাদের খবর দিলে




আম’রাও তার বাস্তব প্রমাণ পাই।’এ নিয়ে চতুর্থ বারের মতো এ আলেমের ক’বর থেকে সুগন্ধ বের হচ্ছে উল্লেখ করে তিনি বলেন, ‘মৃ’ত্যুর দিন দা’ফনের পর একবার, দা’ফনের তিনমাস পর একবার এবং ২০১২ সালে একবার ক’বর




থেকে সুগন্ধ বের হয়।। আল্লাহ তাকে জান্নাত দান করুন।’প্রসঙ্গত, আল্লামা মুশাহিদ আহমদ বায়ামপুরী তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের একজন খ্যাতিমান আলেম, রাজনীতিক, সমাজ সংস্কারক ও লেখক ছিলেন। হাদিস




বিশারদ হিসেবে উপমহাদেশে তার ব্যা’পক খ্যাতি রয়েছে।সিলেটের কানাইঘাট দারুল উলূম মাদরাসার মুহতামিম ও শাইখুল হাদিস ছিলেন। তিনি সিলেট সরকারি আলিয়াসহ ভারত-বাংলাদেশের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে শিক্ষকতা




ক’রেছেন। ১৯৬২ সালে তিনি পাকিস্তানের মেম্বার অব ন্যাশনাল অ্যাসেম্বলি (এমএনএ) নির্বাচিত হন।আরবি, বাংলা ও উর্দু ভাষায় তার মূল্যবান বেশ কিছু গ্রন্থ রয়েছে। দারুল উলূম দেওবন্দে রেকর্ডসংখ্যক নাম্বার পেয়ে তিনি কৃতিত্বের সাক্ষর রাখেন।







