অনার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষা দিয়ে বাড়ি ফিরছিলেন রেশমা নামে এক শিক্ষার্থী। পথেই ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ উপজেলার বারোবাজার এলাকায় যাত্রীবাহী বাস ও ট্রাকের সংঘর্ষে তিনিসহ ১০ জন নিহত হয়েছেন। বুধবার বিকাল




৩টার দিকে এ দুর্ঘটনা ঘটে। নিহতের মধ্যে শিশু একজন, ৩ নারী ও ৬ পুরুষ রয়েছেন। নিহতরা হলেন অনার্সের শিক্ষার্থী জীবননগর এলাকার রেশমা খাতুন, বাসের ড্রাইভার মাগুরা এলাকার উজ্জল হোসেন ও মাস্টার্সের শিক্ষার্থী মোস্তাফিজুর রহমান। বাকিদের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।








নিহত রেশমার ভাই সোহেল রানা জানান তার বোন অনার্স শেষ বর্ষের পরীক্ষা দিয়ে ফিরছিলেন। হঠাৎ ফোন আসে যে বোন সড়ক দুর্ঘটনায় মারা গেছেন। ঘটনাস্থলে এসে বোনের লাশ শনাক্ত করেন তিনি।




তিনি বলেন, শেষ পরীক্ষা দিয়ে আর বাড়ি ফিরতে পারল না আমার বোন। শেষ পরীক্ষা দিয়ে চিরদিনের জন্য বিদায় নিয়েছে। কালীগঞ্জ ফায়ার সার্ভিসের স্টেশন অফিসার শেখ মামুনুর রশিদ জানান, বুধবার বিকাল ৩টার দিকে




ঝিনাইদহগামী জেকে পরিবহন বাসটি ওভারটেক করতে গিয়ে নিয়ন্ত্রণ হারিয়ে রাস্তার উপর উল্টে যায়। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা যশোরগামী একটি ট্রাক বাসটিকে সজোরে ধাক্কা দিয়ে পালিয়ে যায়।




এতে সড়কের দুইপাশে যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। এ সময় বাসের মধ্যে থেকে ৯ জনের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। এরপর বারোবাজার গরীবশাহ ক্লিনিকে আরো এক নারীর মৃত্যু হয়। আহত ১৫ জনকে উদ্ধার করে বিভিন্ন হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। এর মধ্যে ৪-৫ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক।



