যারা দেশমাতৃকার জন্য মৃ’ত্যুকে আলি’ঙ্গন করে মু’ক্তিযু’দ্ধে অনন্যসাধারণ ভূমিকা রেখেছেন এবং স্বাধীনতা অর্জনে বীরত্বপূর্ণ কৃতিত্বের জন্য রাষ্ট্রীয় খেতাব অর্জন ক’রেছেন তাঁদের খেতাব বা পদক বা’তিল করা মু’ক্তিযু’দ্ধকে গৌরবান্বিত করে না।




প্রতিহিংসামূলক কোনো সিদ্ধা’ন্ত ‘ঐতিহাসিক ন্যায্যতা’কে বিলুপ্ত করে দিতে পারে না। অতীতের গৌরবউজ্জ্বল কৃতিত্বকে বর্তমানের পরিপ্রেক্ষিতে বিচার করা কোনোভাবেই সুবিচার নি’শ্চিত করে না এবং নৈতিকভাবেও গ্রহণযোগ্য নয়।




আজ বুধবার মু’ক্তিযু’দ্ধের সেক্টর কমান্ডার জিয়াউর রহমানের রাষ্ট্রীয় খেতাব ‘বীর উত্তম’ বা’তিল করার প্রতিবাদ জানিয়ে জেএসডি সভাপতি আ স ম আবদুর রব গণমাধ্যমে এক বিবৃতিতে একথা বলেন।




রব বলেন, মু’ক্তিযু’দ্ধে যিনি বীরত্ব পূর্ণ ভূমিকা পা’লন ক’রেছেন স্বাধীনতা পরবর্তীকালে তার কোনো ক’র্মকাণ্ড আ’ইনের চোখে প্রশ্নবিদ্ধ হলে সে ক্ষেত্রে আ’ইনত পদক্ষে’পই হবে একমাত্র সমাধান। সশস্ত্র মু’ক্তিযু’দ্ধে বীরত্বপূর্ণ অবদানের জন্য রাষ্ট্র যাকে স্বীকৃতি প্রদান করেছে ৫০ বছর পর রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের দৃষ্টিতে তা পূর্ণমূল্যায়ন




করা নৈতিকতার বিচারে গ্রহণযোগ্য নয়। তিনি বলেন, মু’ক্তিযু’দ্ধে অসম সাহসিকতার জন্য রাষ্ট্র কর্তৃক প্রদত্ত বীরত্বপূর্ণ খেতাব যদি রাজনৈতিক দ্বন্দ্ব-সংঘাতে বা’তিল করা হয় তাহলে তা মু’ক্তিযু’দ্ধকেই প্রশ্নবিদ্ধ করবে।




১৯৭২ সালেও আম’রা সংকীর্ণ রাজনৈতিক কারণে মু’ক্তিযু’দ্ধের অন্যতম বীর সিপাহসালার সেক্টর কমান্ডার মেজর এম এ জলিলকে বীরত্বপূর্ণ কোনো খেতাব দিতে পারেনি। এর দায় অবশ্য আমাদের কে বহন ক’রতে হবে।
তিনি আরো বলেন, এসব সিদ্ধা’ন্ত কোনোক্রমেই মু’ক্তিযু’দ্ধের প্রতি বা লাখো লাখো শহীদের আত্মা’র প্রতি সম্মান বা মর্যদা নি’শ্চিত হয় না। বরং মু’ক্তিযু’দ্ধকে যারা বিত’র্কিত ক’রতে চায় তাদের প্রণোদনা যোগাবে। এসব গু’রুত্ব পূর্ণ বিষয় যদি ক্ষ’মতা ও রাজনৈতিক প্রতিহিংসার হাতিয়ারে প’রিণত হয় তাহলে ভবিষ্যতে মু’ক্তিযু’দ্ধই প্রশ্নবিদ্ধ হবে।








রব আরো বলেন, গত ৫০ বছরে রাষ্ট্রীয় ক্ষ’মতা নি’য়ন্ত্রণের জন্য মু’ক্তিযু’দ্ধের মহান অর্জনকে ধুলিস্যাৎ করা হয়েছে, সংবিধানের মৌল কাঠামোকে পরিবর্তন করা হয়েছে, সাংবিধানিক এবং অসাংবিধানিক পন্থায় মু’ক্তিযু’দ্ধের চেতনাকে নির্বাসনে পা’ঠানো হয়েছে।




এসব দায় থেকে কোনো শাসক গোষ্ঠীরই অব্যা’হতি পাওয়ার কোনো সুযোগ নেই। উপনিবেশিক শাসন ব্যব’স্থা পুনর্বহালের ভুল রাজনীতির কারণে জাতিকে ‘উচ্চ মূল্য’ দিতে হচ্ছে। কিন্তু এ থেকে রাজনৈতিক নেতৃত্ব কোনো




শিক্ষা গ্রহণ করেনি। তিনি বলেন, মু’ক্তিযু’দ্ধের চেতনার কথা বলে রাষ্ট্রকে দু’র্বৃত্তায়ণের চক্রে আব’দ্ধ করা হয়েছে যা নিঃসন্দে’হে লজ্জাজনক। এখন সময় এসেছে আত্মসমীক্ষার। স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তীতে মু’ক্তিযু’দ্ধের




চেতনাভিত্তিক রাষ্ট্র বিনি’র্মাণের পদক্ষে’প গ্রহণ এবং মু’ক্তিযু’দ্ধে যার যার অবদানের যথাযথ স্বীকৃতি প্রদান করাই হবে আমাদের রাজনৈতিক কর্তব্য, মু’ক্তিযু’দ্ধকে বিত’র্কিত করা বা হেয় করার যেকোনো সিদ্ধা’ন্ত গ্রহণ থেকে বিরত থাকাই হবে শুভ বুদ্ধির পরিচায়ক।







