আল-জাজিরায় বাংলাদেশ বিষয়ে সংবাদ প্রকাশের পর আলোচনায় আসে জুলকারনাইন সায়ের খান ওরফে সামিউল আহমেদ খান ওরফে সামির নাম। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর কাছে অপরিচিত এই সামির আদ্যোপান্ত জানতে




সামিসহ ১১ জনের বি’রুদ্ধে আবারও ত’দন্ত শুরু হয়েছে। ত’দন্তের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে কাউন্টার টে’ররি’জম অ্যান্ড ট্রান্সন্যাশনাল ক্রা’ই’ম ইউনিটকে (সিটিটিসি)। এর আগে, ‘আই এম বাংলাদেশি’ নামে একটি পেজ থেকে




ফেসবুকে অ’পপ্রচা’র চালানোর অ’ভিযো’গে গত বছরের মে মাসে সামিসহ ১১ জনের বিরুদ্ধে তথ্যপ্রযুক্তি আইনে মা’মলা করেছিল র্যাব। কিন্তু ওই পেজের মূল ব্যক্তির সন্ধান না পাওয়ায় চা’র্জশি’ট থেকে সামিসহ আটজনকে বাদ দেওয়া হয়। গত ১১ জানুয়ারি তিনজনকে আ’সা’মি করে চা’র্জশি’ট দেওয়া হয়।




কিন্তু আল-জাজিরা টেলিভিশনের খবরের ভিত্তিতে জানা যায়, ওই পেজের মূল ব্যক্তি হলেন সামি। পরে, সার্বিক পরিস্থিতি বিবেচনায় মা’ম’লাটির অধিকতর ত’দন্ত করতে বুধবার (১০ ফেব্রুয়ারি) সিটিটিসিকে নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। আদালত থেকে এ সংক্রান্ত সব ধরনের নথিপত্র বুঝে নেবেন সিটিসিটির সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তা।




মা’মলা পুনঃতদ’ন্ত করার বিষয়ে সিটিটিসির যুগ্ম কমিশনার ইলিয়াস শরীফ বলেন, এখনও মা’মলার নথিপত্র বুঝে পাইনি। আশা করছি দু-একদিনের মধ্যে নথি বুঝে পাব। এরপর তদ’ন্ত শুরু করব। র্যাবের পর্যালোচনায় জানা যায়,




‘আই এম বাংলাদেশি’ পেজের অ্যাডমিন হলেন সায়ের জুলকারনাইন। এডিটর হিসেবে পেজটি দীর্ঘদিন ধরে পরিচালনা করছেন কার্টুনিস্ট আহমেদ কবির কিশোর, আশিক ইমরান, ফিলিপ শুমাখার, স্বপন ওয়াহিদ ও লেখক মুস্তাক আহমেদ।




তাদের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন নেত্র নিউজের সাংবাদিক তাসনীম খলিল, সাহেদ আলম, ব্লগার আসিফ মহিউদ্দীন, রাষ্ট্র চিন্তার কর্মী দিদারুল ইসলাম ভূঁইয়া ও মিনহাজ মান্নান। পরে গত বছরের মে মাসে এই ১১ জনের বিরুদ্ধে রাজধানীর রমনা থানায় মা’মলা করে র্যাব। এ মা’মলার ৬ নম্বর আ’সা’মি ছিল সামি।




এ বিষয়ে র্যাবের ইন্টেলিজেন্স উইংয়ের পরিচালক লে. কর্নেল খায়রুল ইসলাম বলেন, সামি যে একজন প্র’তার’ক এবং অ’পপ্রচা’রকারী সে বিষয়টি আমরাই প্রথম উদ্ঘাটন করি। প্রাথমিক অনুসন্ধানে প্রাপ্ত তথ্য অনুযায়ী মাম’লাও করি।




কিন্তু তদ’ন্ত শেষে যে চা’র্জশি’ট দেওয়া হয় সেটি আদালতের কাছে গ্রহণযোগ্য হয়নি। এ কারণে আদালত মা’মলাটির অধিকতর তদ’ন্তের নির্দেশ দিয়েছেন। পুনরায় তদ’ন্তের মাধ্যমে জড়িত সব আ’সা’মিকে আইনের আওতায় আনা যাবে। এ জন্য যে কোনো ধরনের সহযোগিতা করা হবে বলেও জানান তিনি।




সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, র্যাব কর্মকর্তা পরিচয়ে আর্থিক প্র’তার’ণায় জড়িত থাকার ঘটনায় ২০০৬ সালে সামি গ্রে’ফতা’র হয়েছিলেন। তিনি এখন হাঙ্গেরিতে বসবাস করছেন। পাসপোর্ট তৈরিতে প্রতারণার মাধ্যমে নিজের এবং বাবার




নামের অংশবিশেষ পরিবর্তন করেন। ১৯৮৪ সালে জন্মগ্রহণকারী সামি ১৭ বছর বয়সে এক সেনা কর্মকর্তার ট্র্যাকস্যুট চু’রি করে ধরা পড়েছিলেন। ২০০০ সালে চো’রা’ই হাতির দাঁত বিক্রি করতে গিয়ে ধরা পড়েছিলেন।







