যুক্তরাষ্ট্রের হু’মকি-ধামকিতে পিছু হটবে না তুরস্ক, রাশিয়ার কাছ থেকে অত্যাধুনিক এস-৪০০ আকাশ প্র’তির’ক্ষা ব্যব’স্থা তারা কিনবেই। স’ম্প্রতি এ কথা জা’নিয়েছেন তুর্কি প্রেসিডেন্ট রিসেপ তাইয়্যেপ এরদোয়ানের মুখপাত্র।




তুরস্কের রাষ্ট্রীয় টেলিভিশন চ্যানেল টিআরটি’কে দেওয়া সাক্ষাৎকারে এরদোয়ানের মুখপাত্র ইব্রাহিম কালিন বলেছেন, রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ কেনার বিষয়ে নিজেদের অব’স্থান থেকে পিছু হটবে না আঙ্কারা।




এ নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের স’ঙ্গে চলমান মতবিরো’ধ আলোচনার মাধ্যমে সমাধানের চেষ্টা করা হবে বলেও জা’নিয়েছেন তিনি। ইব্রাহিম কালিন বলেন, ওয়াশিংটন ও আঙ্কারার মধ্যে আলোচনার পরিবেশ রয়েছে, তবে দ্রুতই তা থেকে কোনো ফলাফল আসবে, এমনটি আশা করা ঠিক নয়।




যুক্তরাষ্ট্রের নতুন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন তার পূর্বসূরী ডোনাল্ড ট্রাম্পের অনেক নীতিতে পরিবর্তন আনলেও তুরস্কের এস-৪০০ কেনার বিষয়ে একই নীতি অনুসরণ করছেন। স’ম্প্রতি বাইডেন প্রশা’সন অত্যাধুনিক এই প্র’তির’ক্ষা ব্যব’স্থা কেনার প’রিকল্পনা থেকে তুরস্ককে সরে আসতে হু’মকিও দিয়েছে।




ন্যাটো জোটভুক্ত প্রথম দেশ হিসেবে রাশিয়ার কাছ থেকে এস-৪০০ সংগ্রহ করছে তুরস্ক। ২০১৭ সালে এ ধ’রনের চারটি ব্যব’স্থা কেনার জন্য মস্কোর স’ঙ্গে ৫২০ কোটি ডলারের চুক্তি করে আঙ্কারা। ২০১৯ সালের জুলাই মাসে সেগুলো সরবরাহ শুরু করেছে রাশিয়া, যে প্রক্রিয়া এখনো চলছে।




মা’র্কিন সরকার ২০১৭ সাল থেকেই রাশিয়ার কাছ থেকে তুরস্কের এস-৪০০ কেনা আ’টকানোর চেষ্টা করছে। ওয়াশিংটনের দা’বি, এই চুক্তির মাধ্যমে তুরস্ক রাশিয়ার হাতে বিশাল অংকের অর্থ তুলে দেওয়ার পাশাপাশি ন্যাটো




জোটের সামরিক প্রযু’ক্তিকে বি’পদের মুখে ঠেলে দিচ্ছে। তবে তুরস্ক ও রাশিয়া উভ’য়ই যুক্তরাষ্ট্রের এ দা’বি প্রত্যাখ্যান করেছে। আঙ্কারা বলেছে, তারা কোনো অবস্থাতেই রাশিয়ার স’ঙ্গে করা এই চুক্তি বা’তিল করবে না।







