আকাশে গাড়ি উড়ছে, এ ধ’রনের দৃ’শ্য মুভিতে দেখা গেলেও এবার সত্যি সত্যি উড়ন্ত গাড়ি দেখা যাবে। রাস্তার যানজট এড়িয়ে আকাশে এবার উড়বে গাড়ি। উড়ন্ত গাড়ি তৈরিতে তাই প্রতিযোগিতায় নেমেছে অনেক প্রতিষ্ঠান। তৈরি হবে কার্বন নিঃসরণমু’ক্ত ইলেকট্রিক বিমানও।




ক্যালিফোর্নিয়া ভিত্তিক স্টার্টআপ প্রতিষ্ঠান আর্চার জনসম্মুখে আনছে এমনই উড়ন্ত গাড়ি। এরই মধ্যে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের স’ঙ্গে ৩৮০ কোটি এবং ১১০ কোটি ডলারের চুক্তি করেছে আর্চার। ইউনাইটেড এয়ারলাইন্স এরই মধ্যে




১০০ কোটি ডলারের বিমানের অর্ডার দিয়েছে, যেগুলোর কাজ শুরু করে ২০২৩ সালে। তাও যুক্তরাষ্ট্রের ফেডারেল অ্যাভিয়েশন অ্যাডমিনিস্ট্রেশন অনুমোদন দেওয়ার পর। ফিয়াত ক্রিসলার আর পিজিয়ট সিটরনও উড়ন্ত গাড়ি তৈরির প্রকল্পে বিনিয়োগ ক’রতে আগ্রহী। তবে ইলেকট্রিক বিমান তৈরি করা এবং যাত্রী পরিবহন করা অনেক বেশি




চ্যালেঞ্জিং, কারণ সরকার এবং পরিবেশভিত্তিক বিভিন্ন সংগঠন থেকে বা’ধা আ’সছে। আকাশপথে যাত্রী পরিবহনের কারণেই সবচেয়ে বেশি কার্বন নিঃসরণ আর বায়ুদূষণ হয়। ব্রিটিশ গবেষণা প্রতিষ্ঠান বলছে, বিমানে ভ্রমণ কিংবা বিমান চলাচল এই শতকের মাঝামাঝিতেই কমিয়ে আনা উচিত, তাহলে কার্বন নিঃসরণে বায়ুদূষণ অনেক কমিয়ে




আনা সম্ভব হবে। সবচেয়ে বড় স’মস্যা এয়ারক্রাফটের স’ঙ্গে ব্যাটারির যোগসূত্র তৈরি করা। কারণ ব্যাটারি পরিবহন মানে বিমানের ওজন অনেক বেড়ে যাওয়া। কিন্তু ছোট বিমানে যদি সব ইলেকট্রিক প্রযু’ক্তি ব্যবহার করা হয়, এয়ারলাইন্সের চেয়ে পরিবেশ দূষণ কম হবে।




ইউনাইটেড এয়ারলাইন্সের স’ঙ্গে চুক্তির মধ্য দিয়ে পরিবেশ দূষণ রো’ধে ইলেকট্রিক গাড়ি ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করে আর্চার ক’র্তৃপক্ষ। এমন প্রযু’ক্তি আকাশ পথে চলাচলের ক্ষেত্রে ব্যবহার ক’রতে হবে, যেন কার্বন নিঃসরণ




কম হয়। ইউনাইটেড এয়ারওয়েজ বলছে, আর্চারের উড়ন্ত গাড়ি বা বিমান ৪৭ শতাংশ পর্যন্ত কার্বন নিঃসরণ কমাতে পারবে। খুব শিগগিরই আর্চার তাদের বৈদ্যুতিক গাড়িকে জনসম্মুখে নিয়ে আসবে। জনসম্মুখে নিয়ে আসবে।







