এখন জা’না গেল যে আল জাজিরার “অল দ্যা প্রাইম মিনিস্টারস ম্যান” শিরোনামের প্র’তিবেদনে যে ভাইদের নিয়ে প্রতিবেদটি করা হয়েছে এবং যাদেরকে পলাতক এবং আন্তর্জাতিক স’ন্ত্রাসী এবং গ্যাংস্টার হিসেবে চি’হ্নিত করা








হয়েছে তারা কেউই আ’সলে কোনও মা’মলায় দণ্ডিত নন বরং ২০১৯ সালে তারা সবাই সাজা থেকে মাফ পেয়েছেন। তারা এখন আর দশজন নাগরিকের মতই অপরাধহীন নাগরিক হিসেবে পরিগণিত হবে।




কিন্তু প্রশ্ন হলো যে, ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারিতে যে সাজা মওকুফ করা হয়েছে সেই সাজা মওকুফ নিয়ে লুকোচু’রি কেন ? তাহলে কি সরকারের ভেতরে কোনও শ’ক্তি সাজা মওকুফের বিষয়টি ধামাচা’পা দিয়ে অন্য কোনও উদ্দেশ্য








হাসিল ক’রতে চাইছেন ? কারণ এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে যে, পু’লিশের ওয়েবসাইটে যে মোষ্ট ওয়ান্টেডদের তালিকা রয়েছে সেখানে হারিসের নাম রয়েছে। একই সাথে ইন্টারপোলের ওয়েবসাইটে বাংলাদেশের যারা রেড অ্যালার্টে আছে তাদের তালিকাতেও হারিস আহমেদের নাম রয়েছে।
যখন সাজা মওকুফ করা হলো সাথে সাথে এটি সংশ্লি’ষ্ট ক’র্তৃপক্ষের দায়িত্ব হলো এই সাজা মওকুফের ব্যাপারটি সকলকে অবহিত করা। দেখা যাচ্ছে ২০১৮ সালে ২৭ মে সুপ্রিম কোর্ট কর্তৃক যাবজ্জীবন কারাদণ্ডে দণ্ডিত জোসেফের সাজা মওকুফ করেন রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদ। এবং রাষ্ট্রপতি সাংবিধানিক ক্ষ’মতা প্রয়োগ করে এই




সাজা মওকুফ করেন। জোসেফ দণ্ডিত হয়েছিলেন ১৯৯৬ সালে ৭ মে ফ্রিডম পার্টির নেতা মোস্তাফিজুর রহমানকে হ’ত্যার অভিযোগে। যদিও সেই মা’মলার এফআইআর, চার্জশীট এবং মা’মলার বিচারকার্য সবই ছিল প্র’ভাবিত এবং




প্রতিহিংসাবশত যেটি জোসেফের দণ্ড মওকুফের পরিপত্রে বলা হয়েছে। যদিও দণ্ড মওকুফের পরে জোসেফ একজন মু’ক্ত মানুষ এবং বাংলাদেশে এরকম দণ্ড মওকুফের ঘ’টনা এটিই প্রথম নয়। এর আগেও একাধিক দণ্ড মওকুফের ঘ’টনা ঘ’টেছে।




দেখা যাচ্ছে যে, জোসেফের দণ্ড মওকুফের ঠিক ৯ মাস পরে ২০১৯ সালে ফেব্রুয়ারিতে হারিস এবং আনিস আহমেদেরও দণ্ড মওকুফ করা হয় এবং এই দণ্ড মওকুফ করা হয় ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারার ক্ষ’মতাবলে। ফৌজদারি কার্যবিধির ৪০১ ধারায় বলা হয়েছে, সরকার যদি এরকম অভিপ্রায় ব্যক্ত করে তাহলে যে কোনও শর্ত




দিয়ে অথবা শর্তহীনভাবে যেকোনও মানুষের দণ্ড হ্রাস, স্থগিত বা মওকুফ ক’রতে পারেন। এই নির্দে’শনাটি যে আদালতে তাদের দণ্ড হয়েছিল সেই আদালতে পাঠানো হয়েছে এবং তাদের বি’রুদ্ধে যে গ্রেফতারি পরোয়ানা সেই গ্রেফতারি পরোয়ানা ফেরত নেয়া হয়েছে।




তাহলে প্রশ্ন হলো এটুকু করা হলে পু’লিশের খাতা থেকে তাদের নাম কেন প্রত্যাহার করা হয় নি এবং ইন্টারপোলেও কেন এই বিষয়টি অবহিত করা হয় নি। এটি নিয়ে লুকোচু’রি কেন সেটি নিয়ে প্রশ্ন রয়েছে। কারণ হারিস, আনিস এবং জোসেফের বি’রুদ্ধে যে মা’মলায় অভিযোগ সে অভিযোগটি হলো একজন আত্মস্বীকৃত খু’নির দলের একজন




খু’নিকে হ’ত্যার অভিযোগ। এবং এটি কোনও পরিকল্পিত স’ন্ত্রাস নয় বরং এটি রাজনৈতিক আন্দোলনের অংশ এটি পরি’ষ্কার হয়েছে। তাহলে এতদিন ধ’রে জোসেফ, হারিস এবং আনিসকে খু’নি, গ্যাংস্টার কিংবা চাঁদাবাজ হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়েছিল সেটি ব’ন্ধের জন্য সংশ্লি’ষ্ট ক’র্তৃপক্ষ কি ব্যব’স্থা নিল ? কেন তাদের সাজা মওকুফ হওয়ার




পরও এটি নিয়ে লুকোচু’রি করা হলো? তাহলে কি সরকারের মধ্যেই কিছু ব্য’ক্তি আছে যারা এটি নিয়ে ঘোলা পানিতে মাছে শি’কার ক’রতে চেয়েছে ? এর ফলে একটি বিষয় স্পষ্ট হয়ে গেলো যে, আল জাজিরার প্র’তিবেদনের যে মূল ভিত্তিটি আ’সলে অসত্য কারণ তাদের প্র’তিবেদনের মূল প্রতিপাদ্যই ছিল যে, দুইজন পলাতক আসামীর স’ঙ্গে




সে’নাপ্রধান ঘুরছেন ফি’রছেন এবং দেখা করছেন। কাজেই যখন এটি প্রমাণিত হলো যে তারা কোনও অপরাধী নন, তারা সাধারণ নাগরিক, সেক্ষেত্রে আল জাজিরার প্র’তিবেদনের মূল তথ্যটিই এখন বিভ্রান্তিতে প’ড়েছে। এর ফলে এই পুরো প্র’তিবেদনটি একটি অসত্য এবং বিভ্রান্তিকর প্র’তিবেদন হিসেবে আর একবার প্রতিষ্ঠিত হলো।







