পূর্বঘোষিত সমাবেশে অংশ নিতে বরিশালে যাওয়ার পথে মাওয়া ফেরিঘাটে বা’ধার সম্মু’খীন হয়েছেন বলে অ’ভিযোগ ক’রেছেন ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের বিএনপির পরাজিত মেয়র প্রার্থী ইশরাক হোসেন। বৃহস্পতিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সকালে ঢাকার গোপীবাগের নিজ বাসা থেকে রওনা হওয়ার পর মাওয়া ঘাটে তার গাড়ি




বহর এসে পৌঁছলে বিআইডব্লিউটিএর ক’র্মকর্তা- ক’র্মচারীরা ফেরী ব’ন্ধ করে চলে যায় বলে অ’ভিযোগ করেন ইশরাক। এসময় দীর্ঘক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে ফেরি চলাচল শুরু না হলে লঞ্চে করে সমাবেশের উদ্দেশ্যে রওনা হন




ইশরাক ও বিএনপির নেতাক’র্মী রা। পদ্মা’র ওপারে কাঁঠালবাড়ি ঘাটে পৌঁছানোর পর আবারো বা’ধার সম্মু’খীন হন বলেও অভিযােগ করেন ইশরাক। সবধ’রনের যান চলাচল ব’ন্ধ করে দেয়া হয় বলে দা’বি করেন তিনি। তিনি জা’নান, তারা মাওয়া ঘাট পার হওয়ার পর এপারে আসার পরই তাদের দেখেই পরিবহণ মালিক সমিতির নেতাক’র্মী রা যান




চলাচল ব’ন্ধ করে দেয়। এরপর আ’লাদা আ’লাদা হয়ে বিএনপির নেতাক’র্মী রা ১ ঘণ্টা পর বরিশালের উদ্দেশ্যে রওনা হয়। সম্মু’খীন হওয়ার অ’ভিযোগ জা’নিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদের ইশরাক বলেন, কোন বা’ধাই গণতন্ত্র




পুনরুদ্ধারের আন্দোলন দমাতে পারবে না। ষ’ড়যন্ত্র রুখে দিয়েই এগিয়ে যাবেন তারা। যেকোন প্রতিহিংসা শ’ক্ত হাতেই প্রতিহত করা হবে বলেও মন্তব্য করেন ইশরাক। সিনেমা’র ক’ষ্টের গল্পকেও হার মানলো এই অভিনেত্রীর বাস্তব জীবন রুপালি পর্দায় মায়ের দুঃখ-ক’ষ্ট দেখে কাতর হননি এমন মানুষ কমই আছেন। সিনেমা’র গল্পে যে




মায়ের আকুতি বাস্তব জীবনকেও হার মানিয়েছে।বলছি, বড় পর্দার অ’তি পরিচিত মা চরিত্র রূপায়নকারী রেহা’না জলির কথা। কিন্তু বিধিবাম! বাস্তব জীবনেও অ’ভিনেত্রী জলি মানবেতর জীবন যাপন করছেন। যা এখন সিনেমা’র গল্পকে হার মানায়।২০১৮ সালে রেহা’না জলির ফু’সফুসে প্রদাহ ধ’রা প’ড়ে। এরপর মেরুদ’ণ্ডের হাড়ের স’মস্যার




কথা জা’নান চিকি’ৎসক। মেরুদ’ণ্ডের হাড়ের স’মস্যার পরপরই চিকি’ৎসক রেহা’না জলিকে পুরোপুরি বিশ্রামে থাকার পরাম’র্শ দেন। কিন্তু এরপরই তার ফু’সফুসে ক্যানসারের জী’বাণু পাওয়া যায়। শুরুর দিকে ফু’সফুস ও




হাড়ের চিকিৎ’সায় মাসে ৩০-৪০ হাজার টাকা খরচ হতো। এই টাকার যোগান দিতে হিমশিম খেতে হয় তাকে। অভাব-অনটনের মধ্যে তাকে দেখভাল করার মতো স্বা’মী-সংসার বলতে কেউ-ই নেই। তাই বা’ধ্য হয়ে বোন লাইজুর স’ঙ্গে ইস্কাটনের গাউসনগর এলাকায় রয়েছেন রেহা’না জলি। তিন দশকেরও বেশি সময় যেসব সহক’র্মী র স’ঙ্গে




কাজ ক’রেছেন, তাদের নীরবতায় ক’ষ্ট পেয়েছেন রেহা’না জলি।এ অ’ভিনেত্রী বলেন, ‘আমাকে দেখার কেউ নেই। আমা’র বোনটা ছিল বলে এখনো বেঁ’চে আছি। দীর্ঘ দিন ধ’রে কাজ ক’রতে পারছি না। দেখা হয় না পরিচিত মুখগুলোর স’ঙ্গে। অ’সু’স্থতার কারণে পারছি না। এতদিন কেমন ছিলাম? কি করছি? খেয়ে আছি নাকি না খেয়ে




আছি তার খবর কেউ নেয় না। আমা’র পুরো জীবনটাই কে’টেছে অ’ভিনয়ে। সকাল থেকে রাত পর্যন্ত শু’টিং করেছি। দেশের নামকরা সব নায়ক–নায়িকার মায়ের ভূমিকায় অ’ভিনয় করেছি। অথচ গত এক বছরে কেউ একটাবারের জন্যও আমা’র খোঁ’জ নিলো না। কেউ একজন তো ফোন করে অ’ন্তত জিজ্ঞেস ক’রতে পারত, জলি




আপা, কেমন আছেন! অ’সু’স্থ হয়ে মানুষ চিনতে পারছি।’ কথাগুলো বলতে বলতে কণ্ঠ ভা’রী হয়ে যায় এই অ’ভিনেত্রীর। এদিকে করো’না নিয়েও উৎকণ্ঠায় রয়েছেন তিনি। জলি বলেন, ‘করো’নার কারণে আরো দুর্ভোগে




প’ড়েছি। কি করবো, না করবো বুঝে উঠতে পারছি না। কেউ খোঁ’জ নেয় না। সাহায্যের জন্যও এগিয়ে আসে না।’এর আগে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার কাছ থেকে অনুদান পেয়েছিলেন জলি। তা দিয়ে চিকিৎ’সা করিয়েছেন। এ অ’তীত উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রীর প্রতি কৃতজ্ঞতা জা’নান এ অ’ভিনেত্রী। গেন্ডারিয়ার মনিজা রহমান গার্লস স্কুলে




ক্লাস নাইনে পড়াকালীন, স্কুলের সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে টুকটাক কাজ ক’রতেন জলি। হ’ঠাৎ একজনের মাধ্যমে সিনেমায় অ’ভিনয়ের ডাক পান। পরিবারের কিছুটা অমত থাকলেও শেষমেশ সিনেমায় অ’ভিনয়ের জন্য রাজি হয়ে যান। এটি ১৯৮৫ সালের ঘ’টনা। কামাল আহমেদ পরিচালিত ‘মা ও ছে’লে’ সিনেমায় বুলবুল আহমেদের বিপরীতে




অ’ভিনয়ের মাধ্যমে চলচ্চিত্রে রেহা’না জলির অ’ভিষেক ঘ’টে। এরপর ‘গোলমাল’, ‘মহা’রানী’, ‘প্রায়শ্চিত্ত’, ‘চেতনা’, ‘বিরাজ বৌ’, ‘প্রে’ম প্রতিজ্ঞা’সহ ৪০টি সিনেমায় নায়িকা চরিত্রে অ’ভিনয় করেন। প্রথম সিনেমায় অ’ভিনয় করেই প্রশংসা কুড়ান তিনি। শ্রেষ্ঠ পার্শ্ব অ’ভিনেত্রী ক্যাটাগরিতে জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারও জিতে নেন। অ’ভিনয়ের




পাশাপাশি পড়াশোনাও চা’লিয়ে যান তিনি।‘প্রথম প্রে’ম’ সিনেমায় প্রথম মায়ের চরিত্রে অ’ভিনয় করেন জলি। ৩৫ বছরের অ’ভিনয় ক্যারিয়ারে রেহা’না জলি চিত্রনায়ক আলমগীর, রাজ্জাক, ইলিয়াস কাঞ্চন, ওম’র সানী, মান্না, সালমান শাহ, মৌসুমী, শাবনূর, পপি, শাকিব খান, সাইমন ও বাপ্পীর মায়ের চরিত্রে অ’ভিনয় ক’রেছেন। এদের মধ্যে




সবচেয়ে বেশি শাকিব খানের মা হিসেবে পর্দায় দেখা গিয়েছে তাকে। রেহা’না জলি রুপালি জগতের ঝলমল আলোয় এক সময় দাপিয়ে বেড়ালেও এখন অ’সু’খে, অভাব-অনটনে মানবেতর জীবন যাপন করছেন। পর্দায় অসংখ্য




নায়ক- নায়িকাকে রেহা’না জলি ভালোবাসার চাদরে আগলে রেখেছেন, কিন্তু আজ বাস্তব জীবনে কোনো নায়ক-নায়িকা তার খোঁ’জ নেন না। নিষ্ঠুর এই বাস্তবতা মেনে নীরবে কাঁ’দছেন রুপালি পর্দার এই মা!







