নিউজিল্যান্ডের সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নারীদের মাসিক চলাকালীন ব্যহৃত সামগ্রী বিনামূল্যে বিতরণ করা হবে। নারীদের শা’রীরিক সুস্বা’স্থ্য নি’শ্চিতের লক্ষে এ সিদ্ধা’ন্ত নিয়েছে দেশটির সরকার। নিউজিল্যান্ডের কিছু নারী




শিক্ষার্থী অর্থের অভাবে ট্যাম্পসন এবং স্যানিটারি প্যাডের মতো সাগ্রমী কিনতে পারছেন না। তাই তারা ক্লাসে অনুপস্থিত থাকছেন। বিষয়টি ভাবিয়ে তুলে সরকারকে। সংক’ট সমাধানে গেল বছর সফলভাবে একটি পাইলট




প্রকল্প বাস্তবায়ন করা হয়। তারপরই স্যানেটারি সামগ্রী বিনামূল্যে দেয়ার ঘো’ষণা দেয়া হয়। প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন বলেন, মাসিক একটি স্বা’ভাবিক প্রক্রিয়া। দেশের নাগরিকদের অর্ধেকই নারী। মাসিকের কারণে নারী




শিক্ষার্থীদের শিক্ষা কার্যক্রমে অনুপস্থিত থাকা উচিৎ হবে না। তিনি বলেন, নিউজিল্যান্ডে ১২ জন নারী শিক্ষার্থীর মধ্যে একজন মাসিক চলাকালীন সামগ্রীর অভাবে বিদ্যালয়ে অনুপস্থিত থাকছে। আয় কম থাকায় পছন্দ অনুযায়ী তারা এসব পণ্য ক্রয়ে অক্ষম।




বৃহস্পতিবার তিনি আরও বলেন, দরি’দ্রতা মো’কাবিলার অংশ হিসেবে সরকার বিনামূল্যে মাসিককালীন সামগ্রী বিনামূল্যে দেয়ার সিদ্ধা’ন্ত নিয়েছে। এর মাধ্যমে বিদ্যালয়ে নারী শিক্ষার্থীর উপ’স্থিতি বৃ’দ্ধির পাশাপাশি শি’শুদের




জীবনে ইতিবাচক প্র’ভাব পড়বে বলেও আশা প্র’কাশ করেন তিনি। ২০২৪ সাল পর্যন্ত এ প্রকল্প বাস্তবায়নে নিউজিল্যান্ড সরকারের খরব হবে ১ কোটি ৮০ লাখ মা’র্কিন ডলার। গেল নভেম্বরে বিশ্বে স্কটল্যান্ড প্রথম বিনামূল্যে




স্যানিটারি সামগ্রী বিনামূল্যে সরবরাহের ঘো’ষণা দেয়। জনসমাগমের জায়গায়সহ যে কোনো স্থান থেকে প্রয়োজন অনুসারে এসব পণ্য সংগ্রহ ক’রতে পারবেন নারীরা। গেল বছর ইংল্যান্ডের সব প্রাথমিক এবং মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে বিনামূল্যে মাসিক চলাকালীন সামগ্রী বিতরণ শুরু হয়। যুক্তরাষ্ট্রের কয়েকটি অ’ঙ্গরাজ্যের বিদ্যালয়েও বিনামূল্যে এসব সামগ্রী বিতরণে আ’ইন পাস করেছে।







