আল জাজিরার প্র’তিবেদনে যে তথ্যগুলো বেরিয়ে এসেছে সেই তথ্যগুলো যে শুধু বিদেশ থেকেই সংগ্রহ করা হয়েছে এমনটি নয়, সরকারের ভেতরে থেকেও অনেক তথ্য গিয়েছে এবং অনেক গু’রুত্ব পূর্ণ প্রতিষ্ঠান থেকে কিছু




ব্য’ক্তির মাধ্যমে স্প’র্শকাতর কিছু তথ্য সরবরাহ করা হয়েছে এমন প্রমাণ সরকার পেয়েছে। আর এখান থেকেই সরকারে বোধোদয় ঘ’টেছে যে, সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে আছে অনেক বিএনপি-জামাতের এজেন্ট যারা




বিভিন্ন গু’রুত্ব পূর্ণ তথ্য বিএনপি-জামাতের হাতে তুলে দিচ্ছে। বিশেষ করে লন্ডনে পলাতক তারেক জিয়া এবং যু’দ্ধাপরাধীদের সন্তানদের কাছে এসব তথ্য অর্থের বিনিময়ে অথবা রাজনৈতিক প্রণোদনা হিসেবে চলে যাচ্ছে। আর




এই কারণেই আল জাজিরার প্র’তিবেদনের পর এই তথ্য কিভাবে যাচ্ছে, কারা এই তথ্য পা’চার করছে এবং সরকারের ভেতরে ঘাপটি মেরে থাকা বিএনপি-জামাতের এজেন্টরা কিভাবে এই তথ্যগুলো পা’চার করছে সে




ব্যাপারে সরকার গোপন তদ’ন্ত এবং অনুসন্ধান চালাচ্ছে। এ সমস্ত তদ’ন্ত এবং অনুসন্ধানে বেশ কিছু চাঞ্চল্যকর তথ্য সরকারের হাতে এসেছে বলে জা’না গেছে। একাধিক গোয়েন্দা সংস্থা বলছে, আমাদের কাছে এমন কিছু তথ্য




আছে যে সরকারের ভেতরে থেকে গু’রুত্ব পূর্ণ ব্য’ক্তিরা তথ্য পা’চার করছেন। তাবে কারা এই তথ্য পা’চার করছেন তাদের নাম পরিচয় দিতে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো অস্বীকৃতি জা’নাচ্ছে। একজন গোয়েন্দা সংস্থার ক’র্মকর্তা বলছেন




যে, আম’রা তদ’ন্তের স্বার্থে এই নামগুলো প্র’কাশ ক’রতে চাই না। তবে যারা এইসব তথ্য বাহিরে পা’চার ক’রেছেন বা তথ্য সরবরাহ ক’রেছেন তাদেরকে আম’রা চি’হ্নিত ক’রতে পেরেছি। এ ব্যাপারে ঊর্ধ্বতন ক’র্তৃপক্ষের কাছে আম’রা তাদের স’স্পর্কে বি’স্তারিত জা’নিয়েছি।




সরকারের একাধিক সূত্র বলছে, সরকারের হাতে পর্যাপ্ত তথ্য আছে যে, শুধু আল জাজিরার প্র’তিবেদনই নয়, বিভিন্ন সময় সরকারের ভেতরে থেকে যারা অন্তর্ঘাত চালাচ্ছে তাদের স’স্পর্কে বি’স্তারিত তথ্য সরকারের হাতে এসেছে এবং সরকার এদেরকে চি’হ্নিত করেছে।




সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে, খুব শীঘ্রই এই ব্যাপারে সরকার কঠোর অব’স্থানে যাবে এবং শুদ্ধি অ’ভিযান পরিচালিত হবে। একাধিক দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে যে, সরকার তিনটি ক্ষেত্রে এ শুদ্ধি অ’ভিযান পরিচালনা করার প’রিকল্পনা করেছে।




প্রথমত প্রশা’সনের ভেতরে শুদ্ধি অ’ভিযান: প্রশা’সনের একটি অংশ বিএনপি-জামাতের নিয়ন্ত্রিত এবং বিএনপি-জামাতের এই অংশটি বিভিন্ন গোপন এবং স্প’র্শকাতর তথ্য দেশের বাহিরে বিএনপি-জামাতপন্থীদের কাছে সরবরাহ করছে এমন সুনির্দিষ্ট কিছু প্রমাণ সরকারে হাতে এসেছে। শুদ্ধি অ’ভিযানের প্রথম ভাগে প্রশা’সনের এই ব্য’ক্তিদেরকে চি’হ্নিত করা হবে এবং তাদের বি’রুদ্ধে ব্যব’স্থা গ্রহণ করা হবে।




দ্বিতীয়ত অন্যান্য প্রতিষ্ঠানগুলোতেও বিএনপি-জামাতের এজেন্ট: প্রশা’সনের বাহিরেও কিছু সরকারি প্রতিষ্ঠানে বিএনপি-জামাতের এজেন্ট আছে। তারা বিদেশে থাকা তাদের সাবেক সহক’র্মী দের বেশকিছু স্প’র্শকাতর তথ্য পা’চার করছেন এরকম নি’শ্চিত প্রমাণ পেয়েছে গোয়েন্দা সংস্থাগুলো। আর এই প্রেক্ষিতে তাদের বি’রুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যব’স্থা গ্রহণের উদ্যোগ নিয়েছে সরকার বলে জা’না গিয়েছে।




তৃতীয়ত আওয়ামী লীগে শুদ্ধি অ’ভিযান: শুদ্ধি অ’ভিযানের তৃতীয় ধারা হবে রাজনৈতিক শুদ্ধি অ’ভিযান। যেখানে আওয়ামী লীগের ভেতরে থেকে যারা বিভিন্ন তথ্য পা’চার করছেন এবং অন্তর্ঘাত চালাচ্ছেন এদেরকে চি’হ্নিত করে এদের বি’রুদ্ধেও প্রয়োজনীয় ব্যাবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে সরকারের দায়িত্বশীল সূত্রগুলো বলছে। সরকারের




একজন প্র’ভাবশালী মন্ত্রী বলেছেন, রাজনৈতিক অন্তর্ঘাত থেকে দেশের খুব একটা ক্ষ’তি হয় না রাজনৈতিক দলের ক্ষ’তি হয়। কিন্তু প্রশা’সন বা অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের অন্তর্ঘাত থেকে দেশের অনেক ক্ষ’তি হয় এবং এই ধ’রনের ভেতর থেকে যারা সরকার এবং রাষ্ট্রের ক্ষ’তি করার চেষ্টা করছে তাদেরকে চি’হ্নিত করা হচ্ছে এবং তাদের বি’রুদ্ধে খুব শীঘ্রই বড় ধ’রনের শুদ্ধি অ’ভিযান পরিচালিত হবে।



