২০১৮ সালে মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের মুকুট জেতার পর থেকেই আলোচিত নাম জান্নাতুল ফেরদৌস
ঐশী। ছোট পর্দায় অভিনয়ের অনেক প্রস্তাব পেলেও নিজে’র স্নিগ্ধ হাসি দিয়ে সেই সব প্রস্তাব ফিরিয়ে
দেন তিনি। অপেক্ষা উপযুক্ত গল্প, কাঙ্ক্ষিত চিত্রনাট্য আর মনের মতো একটা সিনেমা’র জন্য।
অবশেষে অপেক্ষার অবসান হয় ২০১৯ সালে। একটা–দুটো নয়, পরপর তিনটি সিনেমায় অভিনয়
করার সুযোগ আসে। খুব শীঘ্রই মিশন এক্সট্রিম সিনেমায় আরফিন শুভর স’ঙ্গে দেখা যাবে ঐশীকে। এই
সিনেমা’র মধ্যে দিয়েই বড় পর্দায় অভিষেক হবে তার। মিস ওয়ার্ল্ড বাংলাদেশের মুকুট জেতার পর ঐশীই
প্রথম বাংলাদেশের কোনো প্রতিযোগী, যে মিস ওয়ার্ল্ডের গ্র্যান্ড ফিনালেতে লড়েছেন। তবে অন্যান্য
দেশের প্রতিযোগীদের মতো নিশ্চিন্তে লড়াই ক’রতে পারেননি তিনি। অনেক চিন্তা এবং মা’নসিক প্রেসার
নিয়েই পার ক’রতে হয়েছে প্রতিযোগীতার প্রতিটি ধাপ। স’ম্প্রতি একটি সাক্ষাৎকারে ঐদিন গুলোর কথা
স্মরণ করেন ঐশী। ঐশী বলেন, বিউটি পেজেন্টের ক্ষেত্রে পোশাক একটি বড় বিষয়। অন্যান্য দেশের
প্রতিযোগিতারা যেমন অনেক পোশাক পায়। শুধু পোশাক নয়, সবই পায় তারা। একটি টুথব্রাশ থেকে
শুরু করে সেফটিন পর্যন্ত তাদেরকে স্পন্সর করা হয়। কিন্তু আমি সব কিছু নিজে কেনা কাঁটা করি।
স্পন্সরের কাছ থেকে আমি মাত্র তিনটি ড্রেস পেয়েছিলাম। অর্গানাইজেশনের এমডি একটি শাড়ি
দিয়েছিলেন। আমি ওখানে যাওয়ার পর বুঝতে পারি যে কাপড়গুলো এনেছি তার বেশির ভাগ আমা’র
কাজে লাগছে না। ৭ দিনের মাথায় আমি চিন্তা করছি আমি কী পরবো। তিনি আরো বলেন, অন্যান্যরা
সবাই ঠান্ডা মাথায় কম্পিটেশনে অংশগ্রহন করছে। বাসায় ফোন দিয়ে বলছে এই করেছি, ঐ করেছি,
ছবি পোস্ট করছে। আর আমাকে প্রতিদিন এইগুলো নিয়ে টেনশন ক’রতে হতো। ঠন্ডা মাথায় আমি
প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে পারতাম না। তারপর যখন ৭ দিন পর দেখলাম আমা’র কাপড় শেষ হয়ে
যাচ্ছে তখন আমি ভাবছি আমি এখন কী করবো। পরে আমা’র ভাইয়াকে ফোন করি। ভাইয়ার বিজনেস
পার্টনার আমাকে শপিং করে পাঠিয়ে দেয়। আমি ওইগুলো পরে অংশ নেই। এইসময় শাড়ি নিয়েও
একটি মজার ঘ’টনার কথা বলেন ঐশী। অভিনেত্রী বলেন, অর্গানাইজেশনের এমডি আমাকে একটি
শাড়ি দিয়েছিলেন যার মধ্যে ব্লাউজ, পে’টিকোট ছিল না।এর আগে আমি কখনো একা শাড়ি পরিনি,
আমি জানিনা শাড়ি কীভাবে পড়তে হয়। তার উপর আবার ব্লাউজ-পে’টিকোট কিছুই নাই। তখন আমা’র
মাথায় একটি বুদ্ধি আ’সলো। শাড়ি দুইভাবে পরা যায়। কুচি দিয়ে শহরের স্টাইলে আর একপ্যাচে গ্রামের
মধ্যে দিয়ে। আগে এমন অনেক গ্রাম ছিল যেখানে মানুষ ব্লাউজ পরতো না।তখন আমি ভাবলাম ব্লাউজ
ছাড়াই শাড়ি পরবো। তখন আমি ব্লাউজ ছাড়াই শাড়ি পরি। ঐশী বলেন, আমি জানি না ঐ সময় আমি
কীভাবে ম্যানেজ করেছিলাম কিন্তু ঐ সময় এইটা অনেক বড় একটা স’মস্যা ছিল। প্রসঙ্গত, চলতি
বছরের ঈদে মু’ক্তির কথা রয়েছে ঐশী অভিনীত প্রথম সিনেমা ‘মিশন এক্সট্রিম’।