ব্যাংক থেকে ঋণ নিয়ে কোটি টাকার গাড়ি কিনে টেনশনে আছেন সুপ্রিম কোর্টের আ’ইনজীবী ও
যুবলীগের কে’ন্দ্রীয় আ’ইন বিষয়ক সম্পাদক ব্যারিস্টার সৈয়দ সায়েদুল হক সুমন। রোববার (২৮ মা’র্চ)
ল্যান্ড ক্রুজার ব্র্যান্ডের নতুন গাড়ি নিয়ে সুপ্রিম কোর্টে এসেছিলেন ব্যারিস্টার সুমন। ঢাকা পোস্টের
স’ঙ্গে একান্ত আলাপ’চারিতায় ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘এক সপ্তাহ হলো নতুন গাড়ি কিনেছি।
অনেকটা ‘ঋণ করে ঘি খাওয়ার মতো।’ এরইমধ্যে দেশে গাড়ি পো’ড়ানো, ভাঙচুর আর হরতাল শুরু
হয়েছে। এখন যদি গাড়ি ভাঙচুরের কবলে প’ড়ে বা আ’গুনে পুড়ে তাহলে আমা’র পথে বসা ছাড়া
কোনো উপায় থাকবে না।’ এ সময় ব্যারিস্টার সুমন হরতাল ও গাড়ি পো’ড়ানোর রাজনীতি থেকে
বেরিয়ে সবাইকে দেশের উন্নয়নে কাজ করার আ’হ্বান জা’নান। গাড়ি কেনার বিষয়ে তিনি বলেন,
‘ফুটবল খেলার জন্য ও বিভিন্ন প্রো’গামে প্রতি সপ্তাহে দেশের কোনো না কোনো জে’লায় যেতে হচ্ছে।
পুরনো গাড়িতে লং জার্নি করি, এটা আমা’র পরিবারের কেউ চাচ্ছিল না। গাড়ি কেনাটা ‘ঋণ করে ঘি
খাওয়ার মত’ হয়েছে। একটা ব্যাংক থেকে ৪০ লাখ টাকা লোন নিয়েছি। মাসে ৮০ হাজার টাকা করে
পরিশোধ ক’রতে হবে।’ সুমন বলেন, ‘আমি অনলাইন ও আ’ইনপেশা থেকে যে টাকা ইনকাম করি, তা
দিয়ে কিস্তি দিতে পারব। পুরনো গাড়ি ৩০ লাখ টাকায় বিক্রি করেছি। আমা’র পরিবারের সদস্যরাও গাড়ি
কিনতে টাকা দিয়ে সহযোগিতা ক’রেছেন। সব মিলিয়ে নতুন এই গাড়ি কিনেছি।’ তিনি বলেন, ‘আরেকটা
কথা হচ্ছে, ঢাকায় আমা’র কোনো বাড়ি নেই। বেশিরভাগ সময় আমি গাড়িতেই থাকি। কিছুদিন ধ’রে
আমি অসু’স্থ হয়ে প’ড়েছি। তাই চিন্তা করলাম বেঁ’চেই যদি না থাকি, তাহলে কাজ করব কীভাবে?
গাড়িটা অ’ন্তত কিনি।’ এক প্রশ্নের জবাবে ব্যারিস্টার সুমন বলেন, ‘বাড়ির কনসেপ্টে আমি বিশ্বা’স করি
না। পাবলিক ডিলিংসের কারণে প্রায় সব সময় আমাকে বাইরে থাকতে হয়। সেজন্য আমি চিন্তা করলাম,
বাড়ি যেহেতু নেই, অ’ন্তত গাড়িটা ভালো হোক। তাহলে জান কিছুটা শান্তি পাবে।’