ঝিনাইদহ সদর উপজে’লার বৈডাঙ্গা গ্রামে প্রবাসী কবিরের স্ত্রী’ তহুরা (৫৫) তিন সন্তানের জননী।
কবির প্রবাসে থাকার সময় একই গ্রামের সিরাজুল ইস’লাম শিরনের (৬০) সাথে প্রে’মের স’ম্পর্ক
গড়ে উঠে তহুরার। গো’পনে তারা বিয়ে করে। অথচ স’ম্পর্কে তারা শ্বশুর-বউমা। বিয়ের পর বিদেশ
থেকে স্বামী কবিরের পা’ঠানো টাকা পয়সা ও স্বর্ণলংকার কৌশলে হাতিয়ে নিতে থাকে শিরন।
কবির দেশে ফি’রেও জানতে পারে না স্ত্রী’র এসব অ’পক’র্ম। পরে তাদের গো’পন অ’ভিসার
ধ’রা প’ড়ে। জা’নাজানি হয় শিরনের স’ঙ্গে নিজ স্ত্রী’র বিয়ে ও দৈহিক স’ম্পর্কের কথা।
এ সময় শিরণ জা’নায়, দীর্ঘ পাঁচ বছর আগে গো’পনে তাদের বিয়ে হয়েছে। তারা বৈ’ধ স্বামী-স্ত্রী’। স্ত্রী’
তহুরার এই কথা যখন জা’নাজানি হয়, তখন কবিরের সব কিছুই শেষ। সব হারিয়ে এখন পাগল কবির।
মানুষের দ্বারে দ্বারে ঘুরছে বিচারের আশায়। জা’না গেছে, বৈডাঙ্গা গ্রামের মৃ’ত হাসেম আলীর ছে’লে
কবির বিদেশে থাকার সময় একই গ্রামের মৃ’ত নোয়াব আলীর ছে’লে সিরাজুল ইস’লাম শিরন কবিরের
বাড়ীতে যাতায়াত করতো। এই সুযোগে কবিরের স্ত্রী’ তহুরা খাতুনের সাথে টাকা পয়সা লেনদেন ক’রতে
থাকে। স’ম্পর্কে তারা শ্বশুর-বউমা হলেও দুজনার মাঝে গ’ভীর স’ম্পর্ক গড়ে ওঠে। পরস্ত্রী’র স’ঙ্গে চুটিয়ে
প্রে’ম করার সুযোগ নিয়ে প্রবাসি কবিরের পা’ঠানো টাকা হাতিয়ে নিতে থাকে শিরন। কবির ২০১৮ সালে
দেশে ফি’রে এলেও স্ত্রী’ তহুরা তার স’ঙ্গে স্বা’ভাবিক স’ম্পর্ক বজায় রেখে চলে। এক স’ঙ্গে দুই স্বামীর ঘর
ক’রতে থাকে তহুরা। গত ১৫ ডিসেম্বর শিরনের সাথে তহুরার দৈহিক স’ম্পর্কের কথা জা’নাজানি হলে
শিরন-তহুরা প্র’কাশ্যে ঘো’ষণা দেয় তারা ২০১৫ সালে গো’পনে বিয়ে করেছে। শিরন ঘ’টনার সত্যতা
স্বী’কার করে বলেন, তহুরাকে আমি ভালবাসতাম । এজন্য সমাজে’র সবাই তাকে নি’র্যাতন করতো, নানা
কথা বলতো তাই আমি তাকে বিয়ে করেছি তহুরা বেগম বলেন, যা শুনেছেন সবই সত্য। আম’রা দু’জন
দু’জনকে ভালোবেসে বিয়ে করেছি। স্বামী কবিরের দোষারোপ করে বলেন, ওর কি আছে যে ওর সাথে
থাকবো। ও আমাকে শুধু ক’ষ্ট দেয়। সুখ দিতে পারে না। এদিকে ভুক্তভোগি কবির বলেন, ২০ বছরের
সংসার জীবনে আমা’র তিনটি মে’য়ে সন্তান আছে। ১৫ বছর বিদেশ খেটে টাকা দিয়েছি। ৬ বছর
আগে অন্যের সাথে বিয়ে করেও আমা’র ঘরে আছে। আমা’র অর্থ সম্পদ সব লুটে নিয়ে গেছে।
আমি এখন সমাজে বের হতে পারি না। আমা’র সবকিছু শেষ। আমা’র সবকিছু শেষ।