শহরের ব্যাস্ত সময় রাস্তা ঘাটে, বাসে ট্রেনে, ভিড়ের মাঝে তাদের দেখা যায়। তারা রঙিন মুখে হাত
পেতে টাকা চাইতে থাকে। তারা আবদারের সুরে বলে “টাকা দে…”। রাস্তায় চলাচল ক’রতে গিয়ে এই
ধ’রনের কথা আমাদের মাঝে মাঝেই কানে আসে। র’ক্ত মাংসের তৈরী হলেও তাদের মানুষ বলে গন্য
করেনা কেউ। তারা সমাজে’র অবাঞ্ছিত। কারন তাদের মধ্যে না’রী অথবা পুরু’ষের কোন সম্পুর্ন বিশিষ্ট
নেই। দুই লি’ঙ্গের অর্ধেক অর্ধেক বিশিষ্ট থাকে তাদের মধ্যে। তাদেরকে দে’খতেও হয় একটু অদ্ভুত
রকমের। না তাদের ছে’লেদের মত দে’খতে হয় আর না তাদের মে’য়েদের মত দে’খতে। তাদের চলতি
ভাষায় বলে হিজড়া। আর যারা একটু ভদ্র ভাবে বলে তারা বলে তৃতীয় লি’ঙ্গের মানুষ। তাদের জীবন
কাটে ভিক্ষা করে। অথবা কারোর বাচ্ছা হলে সেখানে নাচ গান করে সেখান থেকে টাকা নিয়ে।
এছাড়াও তারা মানুষের বাড়িতে যায়, কিছু টাকা বা অন্য কিছু খাদ্য সামগ্রী দানের আশায়। তাদের
অ’সহায়তার কথা ভেবে স’রকার ২০১৪ সালে তৃতীয় লি’ঙ্গকে স্বীকৃতি দেয়। তারা আ’ইনগত স্বীকৃতি
পেলেও সমাজে’র সাধারন মানুষ তাদের এখনও ভালো চোখে দেখেনা। তাদের অদ্ভুত শা’রীরিক
গঠনের জন্য তাদেরকে অব’হেলিত করে রাখা হয়েছে। তাদেরকে অস্পৃশ্য বলে মনে করা হয়। রা
কোন সামাজিক সুযোগ সুবিধাও পায়না। আর তাই তাদেরকে আয়ের ভিন্ন ধ’রনের পথ বেছে নিতে হয়,
যা সাধারন মানুষের কাছে স’মস্যার কারন হয়ে দাড়ায়। হিন্দু শাস্ত্র বলে এমন কিছু জিনিস আছে যা
হিজড়াদের কখনো দান ক’রতে নেই। দিলেই বি’পদ ঘনিয়ে আসে জীবনে। সেগু’লি হল…
১। স্টিলের বাসন ঃ- অনেকে চাল, ডাল, কাঁচা সবজি দান করার সময় যে পাত্রটিতে দেন সেটিও দান
করে দেন। কিন্তু শাস্ত্র বলে তাদের যে বাসনই দেওয়া হোকনা কেনো, স্টিলের বাসন দেওয়া উচিত নয়।
দিলে সংসার থেকে সু’খ শান্তি দূ’র হবে আর অশান্তির সৃষ্টি হবে।
২। রূপো ঃ- শাস্ত্রে আরো বলা হয়েছে যে হিজড়াদের কখনোই রূপো বা রূপোর তৈরি কোন জিনিস দিতে
নেই। সেটা পরিবারের জন্য খুব খা’রাপ হয়ে দাঁড়াতে পারে। হিজড়াদের রূপো দিলে সংসারে আর্থিক ম’ন্দা
দেখা দেবে। ধীরে ধীরে পরিবার অন্ধকারে ডুবে যাবে।
৩। তেল ঃ- তৃতীয় যে জিনিস দিতে নেই সেটা হল তেল। সে যে ধ’রনেরই তেলই হোক না কেনো। সরষের
তেল, সোয়াবিন তেল বা অন্য যে কোন তেল। শাস্ত্রে বলা হয়েছে হিজড়াদের তেল দিলে আপনার অর্থ ও
সম্মান দুই হানি হতে পারে।