এক সপ্তাহের টানা লকডাউনের খবরে রাজধানীর ঢাকার অনেক মানুষ ঢাকা ছেড়ে গ্রামের বাড়ীতে
ছুটছেন। ফলে আজ রোববার (৪ এপ্রিল) সকাল থেকে রাজধানীর সদরঘাট এলাকায় যাত্রীদের উপচে
পড়া ভিড় দেখা যায়। মহা’মা’রি করোনায় ভ’য়াব’হ আ’ত’ঙ্ক আর সং’ক্র’মণ বৃদ্ধিতে এই লকডাউন ঘোষণা
করা হয়। ইতোমধ্যে সকালে চাঁদপুর, ভোলা, সুরেশ্বর, নড়িয়া, মুলফৎগঞ্জ, চন্ডিপুর, নোমরহাট, গঙ্গাপুর,
দুলারচর, মুন্সিগঞ্জ, মোহনপুরসহ বিভিন্ন জায়গার লঞ্চ সদরঘাট থেকে ছেড়ে গেছে। আগামীকাল (৫
এপ্রিল) সোমবার থেকে সপ্তাহের জন্য সারাদেশে লকডাউনে যাচ্ছে সরকার। এই সংবাদ ছড়িয়ে পড়ার
পর থেকে ঢাকা ছাড়তে শুরু করেছেন বেশিরভাগ মানুষ। এদিকে, লঞ্চে প্রবেশের শুরুতে স্যানিটাইজার
হাত পরিষ্কার ও মাস্ক পরার জন্য বারবার সচেতন করা হলেও ভেতরে স্বাস্থ্যবিধি মানছেনা অনেকেই। ৬০
শতাংশ ভাড়া নিলেও অর্ধেক যাত্রী নেওয়ার বিধিনিষেধ মানছেনা বেশিরভাগ লঞ্চ কর্তৃপক্ষ। তবে ঘাটে ও
লঞ্চে মাইকিং করে স্বাস্থ্যবিধি মানতে সচেতন করা হচ্ছে। লালকুঠি ঘাট থেকে সকালে একমাত্র বরিশালের
উদ্দেশে ছেড়ে যায় গ্রিনলাইন ওয়াটার ওয়েজ নামে একটি লঞ্চ। সেখানে যাত্রীর চাপ থাকলেও স্বাস্থ্যবিধি
মেনেই যাত্রী নিচ্ছের তারা। চাঁদপুরগামী আমজাত, ফারহানা, রেওজায়ান নামে একাধিক যাত্রী জানান,
‘সোমবার (৫ এপ্রিল) থেকে লকডাউন। শহরে বসে থাকার চেয়ে গ্রামে যাওয়া ভাল তাই গ্রামে ফিরছি।’
চাঁদপুরগামী সোনারতরী লঞ্চের টিকিট বিক্রেতা হারুন বলেন, অন্যদিনের চেয়ে আজ বেশি চাপ। বেশি
যাত্রী থাকলেও আমরা অর্ধেক যাত্রী নিয়েই যাচ্ছি। গ্রিন লাইন ওয়াটার ওয়েজের টিকেট কাউন্টার জানান,
যাত্রীর চাপ অন্যদিনের চেয়ে বেশি। তবে আমরা অর্ধেক যাত্রী নিয়েই চলছি। ৬০ শতাংশ ভাড়া বাড়ানোর
বিষয়ে গ্রিনলাইন কর্তৃপক্ষ জানায়, আমরা আমাদের আগের ভাড়ার সঙ্গে ১০০ টাকা যোগ করেছি। আগে
৭০০ টাকা ভাড়া ছিল এখন ৮০০ টাকা করা হয়েছে। বাংলাদেশ অভ্যন্তরীণ নৌ-পরিবহন কর্তৃপক্ষের
(বিআইডব্লিউটিএ) তথ্যমতে, রোববার (৪ এপ্রিল) সদরঘাট থেকে দূরপাল্লার ৮৫টি লঞ্চ ছেড়ে যায়।
বরিশালের উদ্দেশে গতরাতে ছেড়ে যায় ৬টি লঞ্চ ও সকালেই সব গুলো ঢাকা ফিরেছে। বরিশাল থেকে
ঢাকাগামী এমভি মানামী লঞ্চ কর্তৃপক্ষ জানায়, বরিশাল থেকে ঢাকা মানুষ কম ফিরছে। আজ একদম
যাত্রী কম ছিল। সোমবার থেকে লকডাউন তাই কেউ ঘর থেকে বের হচ্ছেনা।