ভারতের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনে বারবার বাংলাদেশ প্রসঙ্গ এসেছে। মুখ্যমন্ত্রী মমতা
বন্দোপাধ্যায়ের তৃণমূল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে বিজেপি নেতাদের অভিযোগ, আবার ক্ষমতায় এলে তারা
পশ্চিমবঙ্গকে বাংলাদেশ বানিয়ে ছা এ নির্বাচনে তৃণমূল স্লোগান হিসেবে ‘জয় বাংলা’ ব্যবহার করে।
বিজেপি ব্যবহার করে ‘সোনার বাংলা’। এ নিয়েও আক্রমণ-পাল্টা আক্রমণ হয়েছে অনেকবার। ‘জয়
বাংলা’ স্লোগানকে কেন্দ্র করে বিজেপি নেতারা বলেছেন, ‘বাংলাদেশপ্রীতি থেকেই এ স্লোগান, এটি
বাংলাদেশের মুক্তিযুদ্ধের স্লোগান।’ তৃণমূল প্রশ্ন তুলেছে, ‘সোনার বাংলা’ তাহলে কাদের স্লোগান? ওটাও
তো বাংলাদেশের।’ নরেন্দ্র মোদি বাংলাদেশ সফরে এসে নিজের অবস্থানের বিপরীতে গিয়ে ‘জয় বাংলা’
বলেছেন। এ নিয়ে তৃণমূলের তীর্যক মন্তব্য শুনতে হয়েছে তাকে। তৃণমূল বলেছে, ‘তুমি করলে লীলাখেলা,
আমি করলে পাপ। তুমি বাংলাদেশ গিয়ে ‘জয় বাংলা’ স্লোগান দাও। ভণ্ডামি ছাড়।’ এসব কথার আক্রমণের
মাঝে এবার এলো খালেদা জিয়া প্রসঙ্গ। ভোট কারচুপির অভিযোগ এনে ১ এপ্রিল নন্দিগ্রামে মাথায় কাপড়
দিয়ে ধরনায় বসেছিলেন মমতা বন্দোপাধ্যায়। এটাকে কটাক্ষ করে বিজেপি নেতা শুভেন্দু অধিকারী
বললেন, ‘আপনারা দেখেছেন তো সেদিনের দৃশ্যটা! ভোট লুট হচ্ছে বলে কী কান্নাকাটি! বেগম খালেদা
জিয়ার মতো হিজাব পরে মমতা বয়ালের বুথে বসেছিলেন দুই ঘণ্টা। আর তাকে ঘিরে ধরে ওখানকার
বলছিল জয়জয় শ্রীরাম।’ মমতাকে আক্রমণ করার সময় তিনি তার নাম না ধরে বারবার ‘বেগম’ বলেও
সম্বোধন করেন। রোববার রায়দিঘিতে প্রচারে গিয়েছিলেন শুভেন্দু। সেখানে স্পষ্টতই তিনি দাবি করেন,
নন্দীগ্রামে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে পরাস্ত করার ব্যাপারে তিনি নিশ্চিত। মমতার নাম অবশ্য মুখে
আনেননি শুভেন্দু। তবে বলেন, ‘নন্দীগ্রামে বেগমকে হারিয়ে রায়দিঘিকে প্রণাম করতে এসেছি।’ তার
কথায়, ‘বেগম ভেবেছিলেন নন্দীগ্রামে ২৭ শতাংশ ভোট নিয়ে জিতবেন। আর উনি জানেন না রাতারাতি
কীভাবে বাকি ৭৩ শতাংশ এক হয়ে গেছে। বেলুন ফুটো হয়ে গেছে।’ প্রসঙ্গত, সেখানে ২৭ শতাংশ মুসলিম
ভোট রয়েছে। নন্দীগ্রামের ভোটে বয়ালের বুথে আশি শতাংশ কারচুপি হয়েছে বলে অভিযোগ করেছিলেন
সেখানকার তৃণমূল প্রার্থী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই অভিযোগ অবশ্য খারিজ করে দিয়েছে জাতীয়
নির্বাচন কমিশন।